images

সারাদেশ

ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরি, রুমের সিসি ক্যামেরা অফ!

জেলা প্রতিনিধি

২৮ জুন ২০২৫, ০৩:৩৮ পিএম

শেরপুরের ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে এক নবজাতক চুরির ঘটনা ঘটেছে। চারদিন বয়সী সন্তানকে হারিয়ে দিশেহারা পরিবার। এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছে ভুক্তভোগীরা। আর নবজাতক উদ্ধারে তৎপর রয়েছে জেলা পুলিশ।

শনিবার (২৮ জুন) সকাল ৯টার দিকে নবজাতক চুরির ঘটনা ঘটে। 

নবজাতকের স্বজনরা জানায়, শেরপুর পৌর শহরের চাপাতলী মহল্লার বাসিন্দা ফিরোজ মিয়া। গত বুধবার স্ত্রী আবেদা বেগমকে সিজার করান শহরের ইউনাইটেড প্রাইভেট হাসপাতালে। আজ শনিবার সকালে টার্গেট করে এক নারী নবজাতকটিকে কেবিন হতে চুরি করে নিয়ে যায়।

নবজাতকের বাবা ফিরোজ মিয়া বলেন, অন্যান্য রুমে সিসি ক্যামেরা থাকলেও আমাদের কেবিনের ফ্লোরে সিসি ক্যামেরা ঘটনার সময় কেন বন্ধ রেখেছিল হাসপাতালের লোকজন। তাদের সহযোগিতায় আমার কন্যা সন্তানটিকে চুরি করা হয়েছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।

আরও পড়ুন

এক্সপোর আড়ালে রোগী দেখছিলেন বিদেশি চিকিৎসক, বন্ধ করলেন সিভিল সার্জন

কান্নাজড়িত কণ্ঠে মা আবেদা বেগম বলেন, আমার বুকের ধনকে হাসপাতালের লোকজন চুরি করেছে। আমার বৃদ্ধা মাকে রুমে রেখে আমি শৌচাগারে গেলে এসে দেখি আমার মেয়ে নেই। কষ্ট করে টাকা জোগাড় করে বেসরকারি হাসপাতালে নিরাপত্তার জন্য এসে যদি আমার বাচ্চাকে হারাতে হয়, আর আমার বাচ্চা না পেলে আমি মরে যাব।

স্থানীয়রা জানায়, এর আগেও এ হাসপাতালে অপচিকিৎসা, সিজারের সময় নবজাতকের অঙ্গ কেটে ফেলাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও কেউ কিছু বললে তাদের গুন্ডা বাহিনী নিয়ে অভিযোগকারীদের নিভৃত করে। আজকের এ ঘটনায় সিসি ফুটেজ গায়েব করে ফেলার বিষয়টি পরিষ্কার করে যে নবজাতকটি চুরিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জড়িত।

ইউনাইটেড প্রাইভেট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দীদার মিয়া বলেন, কীভাবে চুরি হয়েছে তা আমরা জানি না। আর সিসি ক্যামেরার মেমোরিতে জায়গা না থাকায় ফুটেজটি খুঁজে পাচ্ছি না। বাচ্চা চুরির সঙ্গে আমরা কোনোভাবেই জড়িত নয়।

মিজানুর রহমান ভুইয়া বলেন, তথ্য পাওয়া মাত্রই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। এদিকে ঘটনাটি অধিক গুরুত্ব দিয়ে দেখছে পুলিশ। আর নবজাতক উদ্ধারে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করছে।

প্রতিনিধি/এসএস