মব সৃষ্টি করে কলেজ শিক্ষার্থীকে সাংবাদিকের লাথি, ভিডিও ভাইরাল

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মেহেদী হাসান নামে এক কলেজছাত্রকে মব সৃষ্টি করে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় স্থানীয় সাংবাদিক শিপলু জামান মব সৃষ্টি করে ওই শিক্ষার্থীকে রাস্তায় ফেলে লাথি মারেন। এ ধরনের ভিডিও এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

এদিকে সাংবাদিকতার প্রভাব খাটিয়ে শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। এ সময় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান তারা।

শুক্রবার (২৭ জুন) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শহরের মেইন বাসস্ট্যান্ডে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে প্রায় ৫ শতাধিক বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

জানা গেছে, মেহেদী হাসান সরকারি মাহতাব উদ্দিন কলেজের অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্র। পড়াশোনার খরচ যোগাতে মেহেদী হাসান দিনমজুরের কাজ করে। গত বুধবার রাতে হাটের খাজনা তোলাকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক শিপলু জামানের সাথে কথা কাটাকাটি হয় মেহেদী হাসানের। এর জেরে শিপলু জামান তার সহযোগী কয়েকজনসহ কলেজছাত্রকে রাস্তার ওপর ফেলে উপর্যুপরি মারধর করে। এ সময় শিপলু জামান ওই শিক্ষার্থীর মাথায় একাধিক বার লাথি মারে। লাথি মারার একটি ভিডিও এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

এদিকে সাংবাদিক পরিচয়ে প্রভাব খাটিয়ে অতীতের মতো মব সৃষ্টি করে নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। শুক্রবার বিকেল তিনটার দিকে কালীগঞ্জ বাজার বাসস্ট্যান্ডে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে সাংবাদিক শিপলু জামানের ভয়ে মানুষ মুখ খুলতে সাহস পায়নি। এখন সে ছাত্রলীগ, যুবলীগ সঙ্গে নিয়ে নতুন করে ত্রাস সৃষ্টির চেষ্টা করছে। সাংবাদিকতাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে শিপলু জামান বছরের পর বছর নানা অপকর্ম করে আসছে।

হাটের ইজারাদার হুমায়ুন কবির বলেন, মেহেদী হাসান খুব দরিদ্র পরিবারের সন্তান। পড়ালেখার পাশাপাশি সে দিনমজুরের কাজ করে। কিন্তু সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতির ছেলে ও আরটিভির ঝিনাইদহ প্রতিনিধি শিপলু জামানসহ কয়েকজন মব সৃষ্টি করে বেধড়ক মারধর করে। সাংবাদিক শিপলু জামান সাংবাদিকতার আড়ালে অবৈধ হুন্ডি ব্যবসা পরিচালিত করে। সে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শিপলু জামানকে গ্রেফতার করা না হলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে জানতে শিপলু জামানের মোবাইলে ফোন দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

প্রতিনিধি/এসএস