জেলা প্রতিনিধি
২৭ জুন ২০২৫, ০২:৩২ পিএম
আলোচিত কনটেন্ট নির্মাতা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচিত মুখ আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে জানা গেছে। বগুড়ার ধুনট উপজেলায় এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তিনি ঘুমের ওষুধ সেবন করেন। এরপর তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত।
শুক্রবার (২৭ জুন) দুপুর ১২টার দিকে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হিরো আলমকে অচেতন অবস্থায় নিয়ে যান তার বন্ধু নাট্যকার জাহিদ হাসান সাগর। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাত আনুমানিক ৩টার দিকে হিরো আলম ধুনট উপজেলার যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত ভাণ্ডারবাড়ি গ্রামের বন্ধু জাহিদের বাড়িতে বেড়াতে যান। সেখানে রাতভর তার সঙ্গে ‘রিয়া মনি’ নামক এক নারীকে নিয়ে দীর্ঘসময় আলাপ হয়। বিষয়টি নিয়ে তার মধ্যে হতাশা ও মানসিক চাপ তৈরি হয়েছিল বলে জানা গেছে।
পরদিন শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে হিরো আলমকে ঘুম থেকে না উঠতে দেখে তার বন্ধু উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে তিনি হিরো আলমের পাশে ঘুমের ওষুধের পাতাগুলো পড়ে থাকতে দেখেন। পরে দ্রুত তাকে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
বন্ধু জাহিদ হাসান সাগর বলেন, ‘দীর্ঘদিনের বন্ধু হিরো আলম আমার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। রাতভর রিয়া মনিকে নিয়ে তার হতাশার কথা বলছিলেন। তিনি বলছিলেন, যেখানে যান, মানুষ তাকে বিরক্ত করে, নানা প্রশ্ন করে। একটু শান্তি খুঁজতেই এখানে এসেছিলেন। আমার ধারণা, মানসিক চাপ আর একাকীত্ব থেকে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’
ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. মনিরুজ্জামান জানান, ‘হিরো আলম ঘুমের ওষুধ সেবনের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে শুরুতে তার সঙ্গে থাকা লোকজন চিকিৎসা স্থগিত রাখতে চেয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত আছেন।’
হিরো আলমের এই আত্মহত্যার চেষ্টা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ তার প্রতি সহানুভূতি জানাচ্ছেন, আবার কেউ মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার কথা বলছেন।
প্রতিনিধি/একেবি