জেলা প্রতিনিধি
২৩ জুন ২০২৫, ০২:৪৫ পিএম
মাদারীপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মেয়েকে লুকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। থানায় সাধারণ ডায়েরি হলে পুলিশ অক্ষত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে।
পরে এই ঘটনার বিচার চেয়ে সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে কালকিনি প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
![]()
ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, কালকিনি উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ‘চর জায়গির’ গ্রামের ইসমাইল ব্যাপারীর ছেলে বাচ্চু ব্যাপারীর সাথে প্রতিবেশী তোতা মিয়া সারেং এর ছেলে রেজাউল করিম বাবু সারেং এর সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এই ঘটনায় মাদারীপুর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে ২০১৬ সালে একটি মামলা দায়ের করেন বাচ্চু ব্যাপারী। ২০৮ নং দায়ের করা মামলায় ২০২১ সালের ১৯ অক্টোবর বাদীর পক্ষে রায় দেন বিচারক। পরে বিবাদীপক্ষ আপিল করলে মামলাটি আদালতে চলমান রয়েছে।
![]()
মামলায় হেরে গিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গত ১৮ জুন রেজাউল করিম সারেং-এর ৮ বছর বয়সী মেয়েকে লুকিয়ে রাখার অভিযোগ করেন বাচ্চুর ব্যাপারীর পরিবার। পরে রেজাউল করিমের পরিবার থেকে কালকিনি থানায় তার মেয়ে ইশরাতকে নিখোঁজ দেখিয়ে সাধারণ ডায়েরি করা হয়। পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় কালকিনির বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের স্লানঘাটা থেকে ২১ জুন শনিবার ইসরাতকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। বাচ্চু ব্যাপারীর পরিবারের দাবি, মামলায় হেরে গিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মেয়েকে লুকিয়ে রাখে রেজাউলের পরিবার। বিষয়টি পুলিশের তদন্তেও বেরিয়ে আসে। এই ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
![]()
সংবাদ সম্মেলনে বাচ্চু ব্যাপারীর স্ত্রী কহিনুর বেগম বলেন, আমাদের সাথে রেজাউল করিমদের জমি নিয়ে বিরোধ। মামলার রায়ও আমরা পেয়েছি। এই কারণেই আমাদের ফাঁসাতে মেয়েকে লুকিয়ে নিখোঁজের ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
মাদারীপুরের কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, ২০ জুন নিখোঁজ জিডি হওয়ার পর তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজের কারণ অনুসন্ধান করছে পুলিশ। একটিপক্ষকে চাপ প্রয়োগ করলে মেয়েটিকেই জিডি হওয়ার পরদিনই অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ঘটনার কারণ সন্ধানে পুলিশ এখনও কাজ করছে। এই ঘটনায় যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়া নিখোঁজ জিডিমূলে ভুক্তভোগীকে উদ্ধারের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
![]()
এদিকে এ ব্যাপারে জানতে ইশরাতের বাবা রেজাউল করিম বাবু সারেং এর ব্যবহৃত মোবাইলে একাধিকবার কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।
প্রতিনিধি/এসএস