images

সারাদেশ

ঝালকাঠিতে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার

জেলা প্রতিনিধি

২৩ জুন ২০২৫, ০৮:৩৪ এএম

ঝালকাঠিতে সাবেক পৌর কাউন্সিলর শাহ আলম খান ফারসুকে গ্রেফতার করা করেছে পুলিশ।

রোববার (২২ জুন) সন্ধ্যা সাতটায়  নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে। শাহ আলম খান ফারসু ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।

ঝালকাঠি থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান জানান মুক্তা বেগম (৩৩) নামে এক নারীর গর্ভের সন্তান নষ্ট ও গত ৫ জানুয়ারি ২০২২ বিএনপির গণতন্ত্র হত্যা দিবসের বিক্ষোভ মিছিলে বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পণ্ড করার অভিযোগে করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

শাহ আলম খান ফারসু এই মামলার ২৬ নাম্বার আসামি। মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৫  সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে ঝালকাঠি জেলা মহিলা দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুক্তা বেগমের করা মামলার বিবরণিতে বলা হয় ০৫/০১/২০২২ তারিখ সকাল ১০:৩০ ঘটিকার সময় ঘটিকায় ঝালকাঠি জেলার বিএনপি অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সকল নেতা কর্মীরা মিছিল নিয়ে আইনজীবী সমিতি অতিক্রমকালে সকল আসামীরা দেশীয় অস্ত্র লোহার রড, হকিস্টিক, জি আই পাইপ, হাতুরি, রামদা চাইনিজ কুড়াল, চাপাতি লাঠিসোটাসহ ককটেল বোমা নিয়া আমাদের সকল নেতাকর্মীদের খুন জখম ও হত্যার উদ্দেশ্যে  অতর্কিত  হামলা ও ককটেল  বিস্ফোরণ ঘটায়। এসময় জনমনে চরম আতঙ্ক সৃষ্টি হয় এবং নেতা কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হইয়া পরিলে আসামীরা বিএনপির নেতাকর্মীদের  মারাত্মক জখম করে এবং বিএনপির নেতাকর্মীরা জীবন বাঁচাতে পালিয়ে যায়। আমি তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা থাকায়  ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করলে  আসামীরা আমার চুলের মুঠি ধরিয়া পেটে লাথি ও কিল ঘুসি মারে আমি পাকা রাস্তার উপর পরে যাই। এরপর অন্যান্য আসামীরা একত্রিত হইয়া আমার পেটে বুকে লাথি মারে ও পদদলিত করে (পারায়) আসামিদের নির্যাতনে আমার গর্ভের ভ্রূণ নষ্ট হইয়া যায় এবং আমি রক্তাক্ত হইয়া রাস্তায় পরে যাই। আসামীরা বোমার বিস্ফোরণ ঘটাইয়া ঘটনাস্থল ত্যাগ করার কিছুক্ষণ পর কতক সাক্ষীরা আমাকে উদ্ধার করিয়া  ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। ডাক্তাররা প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করার কিছুক্ষণের মধ্যেই ছাত্র লীগ, যুবলীগ ও  সারমিন মৌসুমি কেকার নেতৃত্বে সকল বাহিনীসহ হাসপাতালে গিয়ে জোর পূর্বে আমাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে বের করে দেয়। আমার আত্মীয় স্বজন গোপনে বিভিন্ন স্থানে প্রাইভেট চেম্বারে আমার চিকিৎসা করায়। চিকিৎসকরা পরীক্ষানিরীক্ষা করিয়া আমাকে জানায় আসামিদের নির্যাতনে আমার গর্ভের সন্তান নষ্ট হইয়া গিয়াছে। আমি তৎকালীন স্বৈরশাসনের ফলে অস্বাভাবিক পরিস্থিতির কারণে ঝালকাঠি সদর থানা বা বিজ্ঞ আদালতে মামলা করিতে পারি নাই। বর্তমানে দেশে সুষ্ঠু স্বাভাবিক পরিবেশ এবং সু-শাসন ব্যবস্থা থাকায় প্রত্যক্ষদর্শী, ঘটনায় আহত এবং  আত্মীয়স্বজন ও সাক্ষীদের  সহায়তায় আসামিদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে ন্যায়বিচার প্রাপ্তির জন্য থানায় এজাহার দায়েরে বিলম্ব হইল। মামলা দায়েরের পর থেকে ফারসু পলাতক ছিল।

প্রতিনিধি/ এজে