images

সারাদেশ

জামায়াত নেতার পদ বাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ বিএনপির ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে

জেলা প্রতিনিধি

২২ জুন ২০২৫, ০৩:২৬ পিএম

শরীয়তপুরের ডামুড্যায় সিড্যা ইউনিয়ন পরিষদে প্যানেল চেয়ারম্যানের পদ জোরপূর্বক বাগিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএনপিপন্থি ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান রুবেল আকনের বিরুদ্ধে। মূলত চেয়ারম্যান শারীরিক অসুস্থতায় দেশের বাহিরে চলে গেলে তখন তিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হতে পারবেন এমন উদ্দেশেই এ কাজটি করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন পূর্বের প্যানেল চেয়ারম্যান ও সিড্যা জামায়াতের সেক্রেটারি আমির হোসেন।

শনিবার (২১ জুন) বিকেলে জেলা শহরের জজ কোর্ট এলাকায় সাংবাদিকদের একটি অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ অভিযোগ জানান তিনি।

সিড্যা ইউপি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিড্যা ইউনিয়ন পরিষদে ইউপি সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে ১ নম্বর প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয় ইউপি সদস্য আমির হোসেন। আর ২ নম্বর প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন আরেক ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান রুবেল আকন। গত বছরের ১৫ অক্টোবর সিড্যা ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ আব্দুল হাদী জিল্লু ১ নম্বর প্যানেল চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য আমির হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানে পদে বসিয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশ চলে যান। চিকিৎসা শেষে দীর্ঘ সাত মাস পর তিনি দেশে আসলে তিনি তার নিজ দায়িত্ব বুঝে নেন। এখন তিনি পুনরায় চিকিৎসার জন্য বিদেশ চলে যাওয়ার কথা বললে গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় বিএনপি নেতা কবির মীর, ডামুড্যা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহাদত হোসেনসহ তার অনুসারীরা চেয়ারম্যানকে অবরুদ্ধ করে বিএনপিপন্থি ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান রুবেলকে ১ নম্বর প্যানেল চেয়ারম্যান বানিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বানান বলে অভিযোগ করেন আগের প্যানেল চেয়ারম্যান আমির হোসেন।

1000194759

ইউপি সদস্য ও ১ নম্বর প্যানেল চেয়ারম্যান আমির হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আমি জনপ্রতিনিধিদের ভোটে নির্বাচিত হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করেছি। নিয়ম অনুযায়ী চেয়ারম্যান অনুপস্থিত থাকলে আমি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের কথা। কিন্তু ইউপি সদস্য ও বিএনপি নেতা তাদের দলীয় ক্ষমতা এবং প্রভাব খাটিয়ে আমার অনুপস্থিতিতে আমাকে জোরপূর্বক সরিয়ে নিজেকে প্যানেল চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছেন। এই ঘটনাটি শুধু আমার নয়, স্থানীয় গণতন্ত্র ও নির্বাচনের প্রতি মানুষের আস্থার ওপর সরাসরি আঘাত হানবে বলে মনে করি। আমি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ করব। পাশাপাশি আমার পদ পুনরুদ্ধারের দাবি জানাই।

এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত বিএনপিপন্থি ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান রুবেল আকনকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

আরও পড়ুন

সেই ডিসি ও নারীর পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ডামুড্যা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহাদত হোসেন বলেন, তার (আমির হোসেনের) বিরুদ্ধে স্থানীয়দের অনেক অভিযোগ তাই চেয়ারম্যান রুবেলকে প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছে। তাছাড়া উনি তো ওইসময় উপস্থিত ছিলেন না। আমরা ওখানে গিয়েছিলাম স্থানীয় বিএনপির মধ্যে একটু ঝামেলা ছিল সেটা মেটাতে।

এ ঘটনায় সিড্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ আব্দুল হাদী জিল্লুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অসুস্থতার জন্য ঢাকায় অবস্থান করছেন বলে জানান। তবে এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।

এ বিষয়ে ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসরীন বেগম সেতু বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রতিনিধি/এসএস