images

সারাদেশ

ফেনীর মুহুরি ও সিলোনিয়া নদীর দুই স্থানে বাঁধ ভেঙে কয়েক গ্রাম প্লাবিত

জেলা প্রতিনিধি

২০ জুন ২০২৫, ১২:২৩ পিএম

টানা বৃষ্টি ও ভারতীয় উজানের পানিতে ফেনীর ফুলগাজীতে মুহুরি ও সিলোনিয়া নদীর দুইটি স্থানে বাঁধ ভেঙে লোকালয় প্লাবিত হয়েছে।

thumbnail_IMG-20250619-WA0166

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাত ১০টার দিকে এ ভাঙনের সৃষ্টি হয়। শুক্রবার (২০ জুন) সকাল পর্যন্ত ভাঙনের পানি ঢুকে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

IMG_20250620_011152

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত ১০টার দিকে ফুলগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়নের বণিকপাড়া সহদেব বৈদ্যের বাড়ি সংলগ্ন মুহুরি নদীর বাঁধের একটি স্থানে ও গোসাইপুর এলাকায় সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের একটি অংশে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। এতে উত্তর বরইয়া, দক্ষিণ বরইয়া, বণিকপাড়া, বসন্তপুর ও জগতপুর এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এছাড়া এদিন সন্ধ্যা থেকে ফুলগাজী তরকারি বাজার সংলগ্ন স্থানে মুহুরি নদীর পানি প্রবেশ করে বাজারের একটি অংশ প্লাবিত হয়েছে। একই দিন দুপুর থেকে পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের মনিপুর এলাকায় সিলোনিয়া নদীর পানি বেড়ে বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে শুরু করে।

FB_IMG_1750352522451

রাজীব বিশ্বাস নামে ফুলগাজী বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, এখানে প্রতিবছর জুন থেকে আগস্ট মাসে সামান্য বৃষ্টিতেই লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। দোকানের জিনিসপত্র পানিতে ভিজে ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে।

FB_IMG_1750391621188

আলাউদ্দিন নামে মনিপুর এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, কর্মকর্তারা বন্যা এলে ঘটনাস্থলে এসে জিও ব্যাগ দিয়ে মেরামতের কথা বললেও বন্যা শেষে আর খবর রাখেনি।

thumbnail_FB_IMG_1750354949146

আবুল হোসেন নামে বরইয়া গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নদীর পানি বাড়তে শুরু করে। স্থানীয়দের নিয়ে অনেক চেষ্টা করেও ভাঙন ঠেকানো যায়নি। গেল বছরের বন্যার এক বছর না পেরোতে আবারও আমরা পানিতে ডুবছি।

FB_IMG_1750391327690

ফেনী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ফেনীতে ৬১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

FB_IMG_1750391307759

এ ব্যাপারে ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. ফাহাদ্দিস হোসাইন বলেন, উজানে ভারী বৃষ্টি হওয়ায় নদীর পানি বাড়ছে। তবে মুহুরি নদীর পানি এখনও বিপদসীমার নিচে রয়েছে। বাঁধের ভাঙনস্থল রক্ষায় স্থানীয়দের নিয়ে অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধের নিরাপত্তায় আমাদের কাজ অব্যাহত রয়েছে।

প্রতিনিধি/এসএস