জেলা প্রতিনিধি
১৯ জুন ২০২৫, ০৫:৪৭ পিএম
অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় রংপুর-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মন্ডলকে জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুরে রংপুরের সিনিয়র জেলা দায়রা জজ ফজলে খোদা মো. নাজির এই আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট ইন্সপেক্টর আমিনুল ইসলাম।
ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, নুর মোহাম্মদ মন্ডলের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়-বর্হিভূত সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখার একটি অভিযোগ দুদকে করা হয়। সেই অভিযোগের বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়। কমিশনের অনুমোদনক্রমে তার বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী চেয়ে নোটিশ জারি করা হয়।
পরবর্তীতে নিজ নামে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের হিসাব দাখিল করেন নুর মোহাম্মদ। তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে তিনি ৫ কোটি ২২ লাখ ৫৬ হাজার ১৬৮ টাকার স্থাবর ও ২৯ লাখ ৮ হাজার ২১৭ টাকার অস্থাবর সম্পদ এবং দায়-দেনা হিসেবে ৫ কোটি ৮৪ লাখ ৭৮ হাজার ৩০৯ টাকার হিসাব কমিশনে দাখিল করেন।
পরে দুদক থেকে অনুসন্ধ্যানে ৫ কোটি ২২ লাখ ৫৬ হাজার ১৬৮ টাকার স্থাবর সম্পদের তথ্য দাখিল করলেও তার মোট স্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৮ কোটি ৯৮ লাখ ৮৮ হাজার ৮০২ টাকা পাওয়া যায়। দায়-দেনা হিসেবে ৫ কোটি ৮৪ লাখ ৭৮ হাজার ৩০৯ টাকার হিসাব কমিশনে দাখিল করলেও তা প্রকৃতভাবে বেশি দেখিছেন ১ কোটি ৩১ লাখ ৬৪ হাজার ২১৮ টাকার।
প্রকৃতপক্ষে ওই টাকাও তার গোপন বা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য ও জ্ঞাত আয়ের উৎস বর্হিভূত। যা তিনি ভোগ দখলে রেখেছেন। তিনি এসব সম্পদ দুইবার সংসদ সদস্য ও দুইবার উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জন করেছেন মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে।
নুর মোহাম্মাদ মন্ডল তার আয়ের উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশে রূপান্তর এবং জ্ঞাত আয়ের উৎস বর্হিভূত সম্পদ অর্জন করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারা ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছে।
সেই অপরাধ আমলে নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, রংপুরের উপসহকারী পরিচালক নূর আলম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার আলোকে তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
এএইচ