জেলা প্রতিনিধি
১৮ জুন ২০২৫, ০৮:৪৩ পিএম
শরীয়তপুর জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি ঘিরে তীব্র দ্বন্দ্বে ফুঁসছে একটি পক্ষ। তারা বলছে, দলীয় আদর্শের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ব্যক্তিদের ঠাঁই দেওয়া হয়েছে কমিটিতে।
এই অভিযোগ তুলে আজ বুধবার (১৮ জুন) ঢাকা–শরীয়তপুর সড়কের চৌরঙ্গী মোড়ে বসে বিক্ষোভ করে তারা। এক ঘণ্টার বেশি সময় অবরোধের কারণে বন্ধ থাকে যান চলাচল, দুর্ভোগে পড়ে যাত্রী ও চালকেরা। এ সময়ে আন্দোলনকারীরা খোলা চিঠি দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে।

এর আগে ৩ জুন ৩৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি। এর পর থেকে ১৫ দিন ধরে একটি পক্ষ কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, সড়ক অবরোধ, মশালমিছিল ও কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। নতুন এ কমিটি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। তাতে পথচারীসহ ১০ ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আতিকুর রহমান বলেন, ‘কমিটির আহ্বায়ক এইচ এম জাকির আওয়ামী লীগ নেতাদের নেতৃত্বাধীন বাস মালিক সমিতির কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তাঁর এক ভাই শ্রমিক লীগের নেতা, আরেক ভাই যুবলীগের নেতা, ভাতিজা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা। ওই কমিটিতে ইলেকট্রিশিয়ান, জজ কোর্টের আইনজীবীর সহকারী ও অছাত্রদের রাখা হয়েছে। এমন কমিটি আমরা মানি না। কমিটি বাতিল না করা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক এইচ এম জকির বলেন, ‘আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পর একটি পক্ষ বিরোধিতা করে আসছে। ওই পক্ষকে শান্ত থাকার অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু তারা তা না শুনে জনদুর্ভোগের মতো বিভিন্ন কর্মসূচি দিচ্ছে।’
এ বিষয়ে সদর উপজেলার পালং মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবির হোসেন বলেন, ‘ছাত্রদলের একটি কর্মসূচি করার কারণে সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। কর্মসূচি শেষ হওয়ার পরে আমরা যানজট নিয়ন্ত্রণ করেছি। এ সময় পথচারীদের নানা ধরনের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে।’
প্রতিনিধি/এসএস