images

সারাদেশ

হাতিয়া পৌরসভার এস.এ.ই’র দায়িত্বজ্ঞানহীনতায় সেবা ব্যাহত

উপজেলা প্রতিনিধি

১৭ জুন ২০২৫, ০১:০৭ পিএম

পবিত্র ঈদুল আজহার সরকারি দীর্ঘ ছুটি শেষে সরকারি অফিস খোলা সত্ত্বেও হাতিয়া পৌরসভার নাগরিক সেবা গ্রহনে ব্যাপক দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এস.এ.ই) মো. সেলিম উদ্দিনের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা ও অনুপস্থিতির কারণে স্থানীয়রা তাদের প্রয়োজনীয় সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. তারিফ হোসেন বলেন, ‘আমার জরুরি নাগরিক সনদ দরকার ছিল, ঈদের আগে এসেছি। কিন্তু সরকারি ছুটির কারণে সনদ নিতে পারিনি। ছুটি শেষে অফিস খোলার পরও গতকাল ও আজ দুই দিন অফিসে এসেছি, তবে এস.এ.ই অনুপস্থিত থাকায় সনদ পাচ্ছি না। ফোনে বললেন, এসিল্যান্ড স্যারও নেই, তাই তিনি অফিসে নেই। আমাকে আরও দুই দিন অপেক্ষা করতে বললেন।’

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মো. সেলিম দীর্ঘদিন ধরে ইচ্ছেমতো অফিস করছেন এবং নিয়মিত অনুপস্থিত থাকছেন। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসের হাজিরা খাতায় তার স্বাক্ষর পাওয়া গেলেও ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে তিনি নিয়মিত হাজিরা দিচ্ছেন না। ফলে অফিসের সেবা ব্যবস্থা মারাত্মক বিঘ্নিত হচ্ছে।

এছাড়াও জানা গেছে, মো. সেলিম বিগত সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের প্রবল সমর্থক ছিলেন। মেয়র কেএম ওবায়দুল হক বিপ্লবের সঙ্গেও সখ্যতা গড়ে তোলার পাশাপাশি নানা সুবিধা গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু পটপরিবর্তনের পর তিনি এখন নতুন সুরে কাজ করছেন বলে স্থানীয় কিছু দায়িত্বশীল ব্যক্তি জানিয়েছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে জন্মনিবন্ধন, মোবাইল নাম্বার পরিবর্তন, নাগরিক সনদসহ বিভিন্ন সেবার জন্য এসে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন অন্তত অর্ধশতাধিক নাগরিক। তারা অভিযোগ করেছেন, অফিসের উদাসীনতা ও কর্মকর্তাদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার কারণে তাদের সময় ও অর্থ ক্ষয় হচ্ছে।

যখন মোবাইল ফোনে এস.এ.ই মো. সেলিম উদ্দিনকে সেবা বিঘ্নের বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়, তিনি কটাক্ষ করে বলেন, ‘এসব বিষয়ে আমি আপনাকে কেনো বলবো? আপনার ক্ষমতা থাকলে আপনি করেন।’

অপরদিকে, হাতিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌরসভা প্রশাসক মং এছেন মোবাইল ফোনে জানান, তিনি সরকারি কাজে হাতিয়ার বাইরে রয়েছেন। কর্মস্থলে ফিরে এসে বিষয়গুলো নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

স্থানীয়রা দ্রুত এবং নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

প্রতিনিধি/একেবি