images

সারাদেশ

উত্তরের পথে অসহনীয় দুর্ভোগ, ৩০ কিমি যানজট

জেলা প্রতিনিধি

০৬ জুন ২০২৫, ০৬:৫৮ পিএম

তীব্র রোদ আর গরম অপেক্ষা করে শেষ মুহূর্তে পরিবার-পরিজন নিয়ে বাড়ি ফিরছেন ঘরমুখো লাখ লাখ মানুষ। ফলে ঈদযাত্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে কয়েকগুণ যানবাহনের চাপ বেড়েছে। এতে করে মহাসড়কের টাঙ্গাইলের করাতিপাড়া বাইপাস থেকে যমুনা সেতু পূর্ব টোলপ্লাজার প্রায় ২৮ থেকে ৩০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

শুক্রবার (৬ জুন) দুপুরে সরেজমিনে টাঙ্গাইলের যমুনা সেতু পূর্ব টোলপ্লাজা ও গোল চত্বর ঘুরে দেখা গেছে, যমুনা সেতু পারাপারের অপেক্ষায় হাজার হাজার যানবাহন করছে। যানজটের কারণে এই তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছেন যাত্রী ও চালকরা। বিশেষ করে নারী, শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা অসহনীয় ভোগান্তি শিকার হয়েছেন।

জানা যায়, যমুনা সেতুর টোল আদায় মাঝে মধ্যে বন্ধ রাখা, মহাসড়কে যানবাহন বিভিন্ন বিকল, এলোমেলো গাড়ি চলাচলোর কারণে যানজট ও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে মানুষকে।

তবে, এসব সমস্যারোধে সার্বক্ষণিক সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র‍্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

যমুনা সেতু গোর চত্বর এলাকায় সরেজমিন কথা হয় ইমরান হোসেন, সেলিম ও ইশরাত খাতুনসহ আরও বেশ কয়েকজন পোশাককর্মীর সঙ্গে।

2

তারা জানান, আশুলিয়া থেকে গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় খোলা ট্রাকে উঠেছেন রংপুরের তারাগঞ্জের উদ্দেশে। কিন্তু সেখান থেকে সেতু পূর্ব গোল চত্বরে আসতে তাদের সময় লেগেছে প্রায় ১৫ ঘণ্টার মতো। তীব্র গরমে শিশুদের নিয়ে চরম ভোগান্তি ও দুর্ভোগে পড়ছেন। এমন ভয়াবহ যানজটে কোনোবার তারা পড়েননি।

নীলফামারীগামী তয়েস এন্টারপ্রাইজের বাস চালক সোহেল রানা বলেন, গত মঙ্গলবার থেকে এ মহাসড়কের টাঙ্গাইল অংশে রাবনা বাইপাস থেকে সেতু টোলপ্লাজা পর্যন্ত ব্যাপক দুর্ভোগের শিকার হচ্ছি। আজকেও চরম অবস্থা। এলেঙ্গা-সেতু পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বেশি যানজটের কবলে পড়তে হচ্ছে।

এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ মোহাম্মদ শরীফ বলেন, গত বৃহস্পতিবার থেকে আজ শুক্রবারও যানবাহনের অনেক চাপ রয়েছে। তবে, সন্ধ্যার পর থেকে চাপটা কমে আসতে পারে। দুর্ভোগ ও যানজট নিরসনে কাজ করছি। 

অপরদিকে, যমুনা সেতু পূর্ব থানার অফিস ইনচার্জ (ওসি) ফয়েস আহমেদ জানান, গাড়ির চাপ থাকলেও মহাসড়কের এই অংশে ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করছে। তিনি বলেন, আশা করছি দ্রুত স্বাভাবিক হবে।