জেলা প্রতিনিধি
০৬ জুন ২০২৫, ০৭:৪৩ এএম
নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হা-মীম তাবাসসুম প্রভার কোরবানির গরু রাজশাহীর হাট থেকে সহকারী কমিশনার ভূমির (এসিল্যান্ড) সরকারি গাড়িতে বহন করে আনা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় চলছে।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজশাহীর নওদাপাড়া এলাকার সিটি হাট থেকে ওই কোরবানির গরুটি কিনে বাগাতিপাড়ায় নিয়ে আসা হয়।
হা-মীম তাবাসসুম প্রভা বাগাতিপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং একই উপজেলার সহকারী কমিশনারেরও (ভূমি) অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে আম কেনাবেচার সময় আড়তদারদের বাড়তি ওজন নেওয়া নিয়ে একটি সভা ছিল। সেই সভায় যোগদান করতে বাগাতিপাড়া থেকে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) ডাবল কেবিন পিকআপ নিয়ে রাজশাহী যান ইউএনও হা-মীম তাবাসসুম প্রভা। সভা শেষে দুপুরে রাজশাহীর সিটি হাটে কোরবানির জন্য একটি গরু কিনেন। পরে সেই গরু গাড়ির পেছনের কেবিনে তোলে সামনের কেবিনে ইউএনও বসে বাগাতিপাড়ায় ফিরেন। এসময় সরকারি গাড়িতে গরু তুলতে দেখে উৎসুক জনতা ভিড় করেন।
এ বিষয়ে গাড়ি চালক সুমন আলী বলেন, রাজশাহীতে বিভাগীয় কমিশনার অফিসে মিটিং ছিল স্যারের। মিটিং শেষে কোরবানির জন্য হাট থেকে গরু কিনে গাড়িতে তুলে নিয়ে এসেছি। এসময় ইউএনও স্যার গাড়িতে বসেছিলেন।
এ বিষয়ে বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হা-মীম তাবাসসুম প্রভা বলেন, বাগাতিপাড়ায় কোনো পশুর হাট নেই। আজ রাজশাহীতে মিটিং ছিল আমার। তাই সেখানকার একটি হাট থেকে গরু কিনেছি। গরুটি পেছনে তুলে, আমি সামনে সিটে বসে এসেছি।
সরকারি গাড়িতে গরু ওঠানো ঠিক হয়েছে কি না?– এমন প্রশ্নের উত্তরে ইউএনও বলেন, এটা যে অনিয়ম হয়েছে, সেটা কোথাও নেই। গাড়িতে কি তোলা যাবে কি তোলা যাবে না সেটার কোনো পরিপত্র দেখাতে পারবেন? আমি গরুকে সিটে বসাইনি। আমি নিজে গাড়িতে ছিলাম। আর পেছনে জায়গা ছিল, গরুটি গাড়ি নোংরা করেনি।
এ বিষয়ে কথা বলতে নাটোরের জেলা প্রশাসক আসমা শাহীনের মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
তবে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, ডিসিসহ বিষয়টি সবাই জানেন, আমাদের নজরেও এসেছে। এটা ঠিক হয়নি।
প্রতিনিধি/জেবি