জেলা প্রতিনিধি
০৫ জুন ২০২৫, ০৪:১৯ পিএম
জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খাইরুল কবির খোকনকে কারাগারের প্রধান ফটক থেকেই আবার গ্রেফতার করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যার আগে নেত্রকোনা মডেল থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। পরে আরেকটি মামলায় তাঁকে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেফতার দেখানো হয়।
খাইরুল কবিরের পরিবারের অভিযোগ, আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর আবার গ্রেফতার করা কোনো সভ্য দেশে কাম্য হতে পারে না। তাঁকে হয়রানি করতে নাশকতা ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে একাধিক মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। এসব মামলায় তিনি জামিন পেলেও পুলিশ আবার তাঁকে গ্রেফতার করেছে। মূলত তাঁকে হয়রানি করতেই এসব করা হচ্ছে।
থানা-পুলিশ ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দাবিতে অনুষ্ঠিত কর্মসূচির পর বারহাট্টা থানায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অন্তত চারটি নাশকতা ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়। ওই চারটি মামলাতেই খাইরুল কবিরকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে গত ১১ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর কল্যাণপুর এলাকা থেকে র্যাব-১৪ তাঁকে আটক করে। পরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ৪ আগস্ট আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাঁকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
এসব মামলায় তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান এবং গতকাল সন্ধ্যার আগে কারাগার থেকে মুক্তি পান। কিন্তু কারাগারের প্রধান ফটকের সামনে পৌঁছাতেই নেত্রকোনা মডেল থানার পুলিশ তাঁকে আবারও গ্রেফতার করে।
মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, ‘খাইরুল কবিরকে শহরের কুড়পাড় এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শহরের ছোট বাজার এলাকায় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তাঁকে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।’ আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১৭ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত নেত্রকোনার ১০টি থানায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অন্তত ৬৮টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ছয় হাজারের বেশি নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে অনেকেই গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন।
প্রতিনিধি/একেবি