images

সারাদেশ

সিরাজগঞ্জে ৩৫ মণের গরু, বিক্রি হলেই হজে যাবেন মালিক

জেলা প্রতিনিধি

০২ জুন ২০২৫, ০৩:১১ পিএম

আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় প্রস্তুত করা হয়েছে ৩৫ মণ ওজনের একটি বিশাল গরু। প্রায় তিন বছর ধরে লালন-পালন করা এই গরুটির নাম ‘বান্টি’। গরুটি বিক্রি হলেই মালিক আব্দুল মতিন হজে যাওয়ার আশায় বুক বেঁধেছেন।

বেলকুচি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের বওড়া নতুনপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মতিন পেশায় একজন কসমেটিকস ও ফুল ব্যবসায়ী। তিনি জানান, তিন বছর আগে কিছু গচ্ছিত হজের টাকায় ফ্রিজিয়ান জাতের এই গরুটি কিনেছিলেন। এরপর সন্তানের মতোই যত্ন করে লালন-পালন করে বড় করেছেন বান্টিকে।

বান্টির উচ্চতা ৬ ফুট, দৈর্ঘ্য ১১ ফুট এবং ওজন ৩৫ মণ। বিশাল দেহের হলেও গরুটি অত্যন্ত শান্ত স্বভাবের। মালিকের কথার বাইরে যায় না বলেই তার নাম রাখা হয়েছে ‘বান্টি’।

প্রাকৃতিক খাবার খাইয়েই বান্টিকে বড় করা হয়েছে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় থাকে গম, ছোলা ও খেসারির ভুসি, ভুট্টা ও গমের ছাতু, কলা, শাকসবজি, দেশীয় ঘাস ও ধান ভাঙানো গুড়া। প্রতিদিন বান্টির খাদ্য খরচ প্রায় ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা।

আব্দুল মতিন বলেন, ‘বান্টিকে কখনও কৃত্রিম কিছু খাওয়াইনি। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে বড় করেছি। এবার কোরবানির হাটে গরুটি বিক্রির জন্য তুলবো। দাম চাচ্ছি ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সঙ্গে উপহার হিসেবে ৩৫ কেজির একটি খাসিও দেব।’

বান্টির পরিচর্যায় থাকা আব্দুল খালেক সরকার বলেন, ‘তিন বছর ধরে সন্তানের মতো করে প্রতিদিন বান্টির যত্ন নিয়েছি। খাওয়ানো, গোসল করানো, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা—সবই নিয়ম মেনে করেছি।’

স্থানীয় বাসিন্দা জেলহক মোল্লা জানান, ‘এত যত্ন করে বান্টিকে বড় করা হয়েছে যে, গরুটি দেখতে প্রতিদিন উৎসুক জনতা ভিড় জমায়। এটি বেলকুচির সবচেয়ে বড় গরু।’

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নাজমুল হক বলেন, ‘বান্টিকে প্রাকৃতিকভাবে লালন-পালন করা হয়েছে। মালিক নিয়মিত আমাদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়েছেন। গরুটি কোরবানির জন্য একেবারে উপযুক্ত। আশা করি, হাটে ভালো দাম পাবে এবং মালিকের হজে যাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হবে।’

প্রতিনিধি/একেবি