জেলা প্রতিনিধি
১৭ জুন ২০২২, ১০:৩৪ পিএম
দক্ষিণাঞ্চলের ৪টি নদীর পানি সকাল থেকে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও আরও পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ নদীর পানি বিপৎসীমার সমান্তরালে প্রবাহিত হচ্ছে।
শুক্রবার (১৭ জুন) রাত সাড়ে ৮টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. রাকিব।
মো. রাকিব জানান, পূর্ণিমা ও উজানের পানির চাপে সবগুলো নদীর পানি বেড়েছে। তবে দক্ষিণাঞ্চলে এখন পর্যন্ত বন্যার কোন প্রভাব নেই। নদ-নদীর যে পরিমাণ পানি বৃদ্ধি পেয়েছে তা মৌসুমের স্বাভাবিক পরিস্থিতি। এই অঞ্চলের নদীর গভীরতা ও প্রস্থ বড় হওয়ায় এর পানি ধারণক্ষমতা বেশি। ফলে সিলেট-সুনামগঞ্জের পানি নেমে এলেও বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে বলে মনে হয় না।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের পরিসংখ্যানবিদ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মহসিন আলম সুপ্ত বলেন, বর্ষা মৌসুমে বিভাগের মোট ২৩টি নদীর পানি প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করা হয়। এরমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ৯টি নদীর পানি পর্যবেক্ষণ করে রিপোর্ট দেয়া হয়। আজ শুক্রবারের রিপোর্ট অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় চারটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে বিভাগের নিম্নাঞ্চলের অনেক এলাকা তলিয়ে গেছে।
এর মধ্যে, ভোলা খেয়াঘাট এলাকার তেঁতুলিয়া নদীর বিপদসীমা ২ দশমিক ৯০ সেন্টিমিটার মাত্রা অতিক্রম করে দশমিক ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দৌলতখান উপজেলার সুরমা ও মেঘনা নদীর বিপদসীমা ৩ দশমিক ৪১ সেন্টিমিটার মাত্রা অতিক্রম করে দশমিক ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, তজুমদ্দিন উপজেলার সুরমা ও মেঘনা নদীর বিপদসীমা ২ দশমিক ৮৩ সেন্টিমিটার মাত্রা অতিক্রম করে দশমিক ৪৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে ও বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার বিশখালী নদীর বিপদসীমা ২ দশমিক ৮৫ সেন্টিমিটার মাত্রা অতিক্রম করে বিপদসীমার দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
প্রতিনিধি/এইচই