জেলা প্রতিনিধি
২৫ মে ২০২৫, ০৭:৫২ এএম
উজান থেকে ভেসে আসা কচুরিপানার চাপে ভেঙেছে কাঠের সাঁকো। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ১৫ গ্রামের মানুষ। এসব মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যতিক্রম উদ্যোগ নিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম। তার এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকাবাসী।
শনিবার (২৪ মে) দুপুরের গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের নিজামখা গ্রামের তিস্তা শাখা নদীর কাঠের সাঁকোয় জমাট বাঁধা কচুরিপানা অপসারণ করেন তিনি।
এ সময় কারও হাতে লাঠি, আবার কারও হাতে কাঁচি। কেউবা নৌকায়। সবাই কচুরিপানা সরাতে ব্যস্ত। অন্যদিক রান্না করা হচ্ছে খিচুড়ি। আর সবগুলো মনিটরিং করছেন ইউপি চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম।
কচুরিপানা অপসারণ করতে আসা আজিজার রহমান বলেন, চেয়ারম্যানের নির্দেশে এখানে এসেছি। সকাল ৯টা থেকে কচুরিপানা সরাতে কাজ করছি। প্রায় দুই-আড়াইশ লোক এখানে কাজ করছি। বিনিময়ে চেয়ারম্যান সাহেব সাঁকোটি মেরামত করে দিবেন এবং দুপুরে আমাদের খাওয়াবেন। চেয়ারম্যান পাশে আছেন, এতেই আমরা খুশি।
হাতের লাঠি দিয়ে কচুরিপানা ঠেলছেন মো. রেজাউল করিম (৩২) নামের এক ব্যক্তি। বলেন, আজকে যে কাজগুলো করছি এটা বর্ষা আসলেই করতে হয় আমাদের। কিন্তু ওটাতো স্থায়ী সমাধান নয়। সে কারণে এখানে একটি ব্রিজ করার জোর দাবি করছি।
খিচুড়ি রান্নার কাজে ব্যস্ত জালাল মিয়া বলেন, সকাল থেকে ৩ জন খিচুড়ি রান্না করছি। ৫০০ লোকের রান্না করা হয়। কচুরিপানা সরাতে যারা কাজ করেছেন তাদের জন্য এই খিচুড়ি। চেয়ারম্যান এসবের খরচ দিয়েছেন।
তারাপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, কচুরিপানার চাপে সাঁকোর মধ্যের অংশ ভেঙে গেছে। মানুষের যাতায়াত বন্ধ আছে। সে কারণে এ পদক্ষেপ নিয়েছি। ভুক্তভোগীরা কচুরিপানা সরাবে। আর আমি খিচুড়ি খাওয়াব এবং সাঁকোটি মেরামত করে দেব। গ্রামবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ভীষণ খুশি হয়েছেন বলেও জানান এই ইউপি চেয়ারম্যান।
কথা হয় সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজ কুমার বিশ্বাসের সঙ্গে। তিনি চেয়ারম্যানের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, সামনের মিটিংয়ে চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদ জানাব। জনসাধারণের পাশে দাঁড়াতে বাকি জনপ্রতিনিধিদের এভাবে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানান তিনি।
প্রতিনিধি/এসএস