images

সারাদেশ

নেত্রকোনায় পোস্টার দ্বন্দ্বে শ্রমিক খুন, যুবদল নেতা গ্রেফতার

জেলা প্রতিনিধি

২৪ মে ২০২৫, ০৭:৫৪ পিএম

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে শফিকুল ইসলাম (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।

শনিবার (২৪ মে) বিকেলে নিহতের ছোট ভাই খায়রুল ইসলাম বাদী হয়ে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জামাল উদ্দিনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এতে বিএনপির অন্তত ২৮ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাত আরও ৯০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার পর পুলিশ আটককৃত তাজুল ইসলামকে (৪৫) গ্রেফতার দেখায়। তিনি উপজেলা যুবদলের সদস্য এবং মামলার ১৬ নম্বর আসামি। নিহত শফিকুল ইসলাম বাকলজোড়া আব্বাছনগর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন এবং একটি করাত কলে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।

এলাকাবাসী ও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হামিদুর রহমানের পক্ষে তাঁর কর্মী-সমর্থকরা গত বুধবার দুপুরে দুর্গাপুর পৌর শহরসহ বিভিন্ন স্থানে আসন্ন ঈদ উপলক্ষে শুভেচ্ছামূলক বিলবোর্ড লাগাতে যান। দুর্গাপুর পৌরসভার পুলিশ মোড় এলাকায় বিলবোর্ড লাগানোর সময় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও স্মরণিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামাল উদ্দিন এতে বাধা দেন এবং বেশ কিছু বিলবোর্ড ভাঙচুর করেন।

পরে হামিদুর রহমান বিষয়টি দুর্গাপুর থানা পুলিশ ও জামাল উদ্দিনের বাবা, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইমাম হোসেন আবু চানকে লিখিতভাবে জানান। এতে জামাল উদ্দিন আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। পরে তাঁর নেতৃত্বে বুধবার রাত আটটার দিকে বেশ কিছু মোটরসাইকেলযোগে একদল লোক আব্বাছনগর এলাকায় গিয়ে হামিদুর রহমানের গ্রামের বাড়িতে হামলা চালায়। এতে হামিদুর রহমানের ভাতিজা শফিকুল ইসলাম নিহত হন এবং আরও কয়েকজন আহত হন।

বাদীর অভিযোগ, জামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে একপর্যায়ে শফিকুলের পেটে ছুরিকাঘাত করা হলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। তিনি জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘মামলায় তাজুল ইসলাম নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে আজ শনিবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’

প্রতিনিধি/একেবি