images

সারাদেশ / শিক্ষা

দুই দাবিতে আমরণ অনশনে চবির স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থীরা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

২৪ মে ২০২৫, ০৪:৩০ পিএম

সেশনজট নিরসন ও অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের ১২ জন শিক্ষার্থী।

শনিবার (২৪ মে) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এ. আর. মল্লিক প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ অনশন শুরু হয়।

অনশনরত শিক্ষার্থীরা হলেন- ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের স্বাধীন বসু মিয়া ও ক্যএসিং মার্মা, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের আনাম ও ওয়ালীউল্লাহ, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের তারেক মাহমুদ, আবু রাজিন মন্ডল ও হাফসা কাওসার মিশু, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মোহাম্মদ জাবেদ ও বখতিয়ারুল এবং ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের মিফতাহ জাহান মীম, পবিত্রী রাণী ও শ্রুতি রাজ চৌধুরী।

দাবি ও প্রতিবাদ:

২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আরাফাত হোসাইন বলেন, ‘আমাদের বিভাগে ন্যূনতম শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ নেই। আমরা শিক্ষার্থীরা মৌলিক সুবিধাগুলো থেকেও বঞ্চিত। বাধ্য হয়ে আমরা আমরণ অনশন শুরু করেছি। আমাদের দুটি স্পষ্ট দাবি— সেশনজট নিরসন ও অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ।’

২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শ্রুতি রাজ চৌধুরী বলেন, ‘বিভাগে এ পর্যন্ত ১০টি ব্যাচ ভর্তি হলেও এখন পর্যন্ত মাত্র তিনটি ব্যাচ অনার্স সম্পন্ন করতে পেরেছে। বারবার আন্দোলন করেও ফল মেলেনি। আমরা চাই দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা।’

২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ওয়ালীউল্লাহ বলেন, ‘করোনার পর থেকেই আমাদের বিভাগের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে আসে। ২০২১ সালে আমরা কোনো পরীক্ষাতেই অংশ নিতে পারিনি। এখনো আমরা তৃতীয় বর্ষে, অথচ আমাদের বন্ধুরা মাস্টার্সে উঠে গেছে। তাই সেশনজট নিরসন ও নির্দিষ্ট অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার আমাদের ন্যায্য অধিকার।’

বিভাগ ও সংকটের পটভূমি:

২০১৫ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শারীরিক শিক্ষা অনুষদ প্রতিষ্ঠার পর ‘ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্স’ বিভাগ চালু করা হয়। ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তি শুরু হয়। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত ১০টি ব্যাচে ভর্তি হলেও এ পর্যন্ত মাত্র তিনটি ব্যাচ স্নাতক সম্পন্ন করতে পেরেছে।

শিক্ষার্থীদের দাবি, অব্যবস্থাপনা ও অ্যাকাডেমিক পরিকল্পনার অভাবে বিভাগের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরেই চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন অনশনকারী শিক্ষার্থীরা।

প্রতিনিধি/ এজে