images

সারাদেশ

পুলিশের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার: ১ মাস পর সাত সহকর্মীর নামে হত্যা মামলা

জেলা প্রতিনিধি

২১ মে ২০২৫, ১২:৩০ পিএম

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় ইমিগ্রেশন ভবন থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া পুলিশ কনস্টেবল শামিম রেজা সাজুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এক মাস পর হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ মে) নিহত শামিমের বাবা হাসেম আলী ফরাজী এ মামলা করেন দর্শনা থানা আমলি আদালতে।

মামলাটি আমলে নিয়ে আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি)।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাজমুল হাসান লাভলু জানিয়েছেন, আদালতে দেওয়া অভিযোগটি গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

1000025695

জানা গেছে, কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ঝুটিয়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা শামিম রেজা সাজু দর্শনা জয়নগর আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে ইমিগ্রেশন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। গত ১৮ এপ্রিল সকালে চেকপোস্টের নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষ থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই সময় এটি অপমৃত্যু হিসেবে গণ্য করে একটি সাধারণ মামলা করা হয়।

আরও পড়ুন

চুয়াডাঙ্গায় পারিবারিক বিরোধে স্কুলছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা

তবে এক মাসেরও বেশি সময় পরে শামিমের বাবা হাসেম আলী ফরাজী ছেলের মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে আদালতে হত্যা মামলা করেন।

মামলায় অভিযুক্ত সাতজন হলেন, সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) তারেক মাহমুদ, লাভলুর রহমান, মিঠুন হোসেন, সহিদুল ইসলাম, কনস্টেবল মেহেদী হাসান, ইমিগ্রেশন বিভাগের ইনচার্জ সহকারী পরিদর্শক (এসআই) রমজান আলী ও কনস্টেবল সোহেল রানা।

1000025694

মামলার অভিযোগে বলা হয়, শামিম রেজা বিবাহিত এবং তার একটি পাঁচ বছর বয়সী ছেলে রয়েছে। স্ত্রী ও সন্তান থাকেন শ্বশুরবাড়িতে, আর শামিম থাকতেন সহকর্মীদের সঙ্গে ইমিগ্রেশন ভবনের দ্বিতীয় তলায়।

বাদীর দাবি, দর্শনায় বদলি হওয়ার পর থেকেই সহকর্মীদের হাতে মানসিক নির্যাতনের শিকার হন শামিম। সহকর্মীরা তাকে প্রায়ই অকারণে গালিগালাজ ও হুমকি দিতেন। এমনকি খুন করার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ।

1000025693

১৭ এপ্রিল কনস্টেবল শামিম এসব হুমকির কথা তার এক সহকর্মী ও গ্রামের লোক কনস্টেবল সোহেল রানাকে হোয়াটসঅ্যাপে জানান। কিন্তু সোহেল রানা তা পরিবারের কাউকে না জানিয়ে উল্টো অভিযুক্ত অন্যদের জানিয়ে দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই সাতজন মিলে শামিমকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

বাদীপক্ষের দাবি, শামিমের মৃত্যু আত্মহত্যা নয়, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা। আদালত মামলাটি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে তদন্তভার সিআইডিকে দিয়েছে।

প্রতিনিধি/এসএস