জেলা প্রতিনিধি
২০ মে ২০২৫, ০৫:২৬ পিএম
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রোভিসি) অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী এবং কোষাধ্যক্ষ (ট্রেজারার) অধ্যাপক ড. মো. মামুন অর রশিদকে অপসারণ বেআইনি বলে দাবি করেছে একটি শিক্ষক সংগঠন। ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব) সোমবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভিসি’র বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের কারণে প্রোভিসি ও ট্রেজারারকেও অপসারণ করা অন্যায় ও অযৌক্তিক। তারা দক্ষতা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাদের এভাবে অপসারণে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ইউট্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান তীব্র নিন্দা জানান। একইসঙ্গে অপসারিত প্রোভিসি ও কোষাধ্যক্ষকে পূর্বের পদে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ১৩ মে ছাত্র-শিক্ষকদের বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিন, প্রোভিসি ও কোষাধ্যক্ষকে নানা অনিয়ম ও ইউজিসি (বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন) তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। টানা ২৯ দিনের আন্দোলন, অস্থিরতা ও প্রশাসনিক সংকটের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ভিসি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
তবে ইউট্যাব দাবি করেছে, প্রোভিসি ও কোষাধ্যক্ষ দায়িত্ব পালনে দক্ষ ছিলেন এবং তাদের বিরুদ্ধে ইউজিসি কোনো অনিয়মের অভিযোগ তোলেনি। শুধুমাত্র ভিসিের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সঙ্গে তাদের জড়িয়ে পদচ্যুত করা বেআইনি ও অনৈতিক। এই ধরনের পদক্ষেপ জনমনে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করবে এবং শিক্ষকদের প্রতি আস্থার সংকট তৈরি করবে বলেও মন্তব্য করা হয়।
এ বিষয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদ সাকিন বলেন, ‘আমরা ভিসির অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। ভিসির অপসারণে আমরা সন্তুষ্ট, তবে প্রোভিসি ও কোষাধ্যক্ষের অপসারণে আমরা হতাশ। কার্যক্রমে গতি আনতে তাদের পুনরায় দায়িত্বে ফেরানো উচিত।’
ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘ববির সাবেক ভিসি ড. শুচিতা শরমিনের অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ ইউজিসি পেয়েছে। কিন্তু প্রোভিসি ও কোষাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ ছিল না। তাই তাদের অপসারণ পুনঃবিবেচনা করে আগের পদে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।’
শিক্ষার্থী মোকাব্বেল শেখ বলেন, ‘কোনো অনিয়মের প্রমাণ ছাড়াই তাদের অপসারণ খুবই দুঃখজনক। আমরা চাইনি শিক্ষার্থী-বন্ধুবৎসল প্রোভিসি ও ট্রেজারারকে অপসারণ করা হোক।’
প্রতিনিধি/একেবি