images

সারাদেশ

সিরাজগঞ্জে সবজি ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ৬ আসামির মৃত্যুদণ্ড

জেলা প্রতিনিধি

২০ মে ২০২৫, ০১:৩৭ পিএম

সিরাজগঞ্জে নাজমুল ইসলাম নামে এক সবজি বিক্রেতাকে অপহরণ ও হত্যার দায়ে ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ মে) বেলা ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম আলী আহমেদ এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের সময় ছয় আসামিই পলাতক ছিলেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- গাইবান্ধা জেলার পারধুন্দিয়া গ্রামের মো. খাজা মিয়া, হরিনাথপুর বিষপুকুর গ্রামের মো. এনামুল, দরগাপাড়া গ্রামের মো. মোজাহিদ, পারধুন্দিয়ার মো. বসু, মাদারদহ পূর্বপাড়া গ্রামের মো. সাইদুল ইসলাম এবং রামনগর (হাটবাড়ি) গ্রামের মো. মিলন সরকার।

রাষ্ট্র পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রফিক সরকার। তিনি বলেন, চাঞ্চল্যকর সবজি ব্যবসায়ী নাজমুল হত্যা মামলার রায়ে আজ ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মোট সাতজনকে অভিযুক্ত করা হলেও বিচার চলাকালে আসামি মো. সাইফুল ইসলাম হাজী ছয়ফুল মারা যাওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন

রাতে বন্ধুরা মিলে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, ভোরে থানায় স্বামীর আত্মসমর্পণ

এই মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, নওগাঁর চকগৌরী বাজার থেকে সবজি কিনে ২০১৭ সালের ১০ আগস্ট দুপুরে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন ব্যবসায়ী নাজমুল ইসলাম। তিনি বাইপাইলের একটি কাঁচাবাজারে সবজি পৌঁছানোর বিষয়টি স্ত্রী রাবেয়া খাতুনকে ফোনে নিশ্চিত করেছিলেন। কিন্তু ১১ আগস্ট থেকে নাজমুলের সঙ্গে পরিবারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সেদিন রাত ১২টার দিকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ফোন করে জানায়, নাজমুলকে গাজীপুরের চান্দুরা এলাকা থেকে কালো একটি মাইক্রোবাসে করে অপহরণ করা হয়েছে এবং ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। একই রাতে আরও একবার ফোন করে জানায়, নাজমুলকে মারধর করা হয়েছে, সে কথা বলতে পারবে না। পরদিন সকালে একটি বিকাশ নম্বর থেকে টাকা পাঠাতে বলে।

 ১২ আগস্ট সকালে স্থানীয় একটি এনজিও কর্মকর্তা মো. আব্দুল কুদ্দুস ফোনে জানান, নাজমুলের মরদেহ সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানাধীন হাটিকুমরুল এলাকার রূপসী বাংলা হোটেলের পাশে পাওয়া গেছে। মরদেহের মাথায় ছিল গভীর আঘাতের চিহ্ন। সলঙ্গা থানা পুলিশ মরদেহের শরীর থেকে পাওয়া একটি এনজিও কাগজের সূত্র ধরে আত্মীয়দের খবর দেয়। পরে পরিবার গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করে।

মামলার চার্জশিট অনুযায়ী, অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায় না হওয়ায় নাজমুলকে হত্যা করে রাতের আঁধারে রাস্তার পাশে ফেলে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতকারীরা। এ ঘটনায় নাজমুলের বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। রাষ্ট্রপক্ষের ১১ জন সাক্ষী শেষে আদালত আজ এ রায় প্রদান করেন।

প্রতিনিধি/এসএস