images

সারাদেশ

হাবিবের ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য ইমাম-মুয়াজ্জিনদের ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান

জেলা প্রতিনিধি

১৯ মে ২০২৫, ০৬:৪৬ পিএম

পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায় কোনো মসজিদে জামায়াতপন্থি মুয়াজ্জিন ও ইমামকে আজান ও নামাজ পড়াতে দেওয়া হবে না বলে পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব যে বক্তব্য দিয়েছেন তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ মসজিদ মিশন পাবনা জেলা শাখা।‌ হাবিব সাহেবের এমন ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য আলেম ওলামা ইমাম মুয়াজ্জিনসহ দেশের সব জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে বলেও তারা দাবি করেন।

সোমবার (১৯ মে) এক বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ জানান বাংলাদেশ মসজিদ মিশন পাবনা জেলা শাখার সভাপতি হাফেজ মুফতি মাওলানা সফিউল্লাহ ও সেক্রেটারি হাফেজ আহমাদুল্লাহ।

আরও পড়ুন

পাবনায় অফিস ও ধর্মীয় গ্রন্থ পোড়ানোর প্রতিবাদে জামায়াতের বিক্ষোভ

প্রতিবাদ লিপিতে তারা বলেন, গত ১৫ মে আটঘরিয়া উপজেলার দেবোত্তর বাজার জামে মসজিদে আসরের নামাজ চলাকালীন বিএনপি নেতা আলম ও আসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী মসজিদের বাইরে গুলি ও ককটেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। এ সময় মুসল্লিরা নামাজ শেষ করে দিকবিদিক ছুটাছুটি করতে থাকেন। এক পর্যায়ে মুসল্লিদের প্রতিরোধের মুখে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। নামাজের সময়ে গুলি ও ককটেল নিক্ষেপ একটি নজিরবিহীন ঘটনা। আমরা এমন সন্ত্রাসী হামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। 

তারা বলেন, ওই দিন সন্ধ্যায় একটি ইসলামী সংগঠনের অফিসে আগুন লাগিয়ে অফিসের আসবাবপত্র এবং পবিত্র কোরআন পোড়ানো হয় যা মিডিয়ার মাধ্যমে আমাদের দৃষ্টি গোচরে আসে। আটঘরিয়ার পুলিশ প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের প্রচেষ্টায় আগুন নেভানো হয়। অথচ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব সাংবাদিকদের বলেন অফিসে আগুন দেওয়া হয়নি আর কোরআন পোড়ানো হয়নি। যারা পবিত্র কোরআনে আগুন দিয়েছে তাদের এমন ধৃষ্টতাপূর্ণ কর্মকাণ্ডের এবং হাবিবুর রহমান হাবিবের মিথ্যাচারের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।

আরও পড়ুন

পাবনায় বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ: মোটরসাইকেল ও অফিস ভাঙচুর, আহত ৫

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হাবিবুর রহমান হাবিব আরও বলেছেন- আটঘরিয়ার কোনো মসজিদে জামায়াতের কোনো ইমাম নামাজ পড়াতে পারবে না ও জামায়াতের কোনো মুয়াজ্জিন আজান দিতে পারবে না। মি. হাবিব সাহেবের এমন কথা বলার কোনো নৈতিক অধিকার নেই। আটঘরিয়ার সব মসজিদ কি হাবিবের বাপের তৈরি? ইমাম মুয়াজ্জিনের বেতন কি হাবিব দিয়ে থাকেন? মি. হাবিব কি আটঘরিয়ার কোনো ওয়ার্ডের মেম্বার? কোনো ইউনিয়নের চেয়ারম্যান? উপজেলা চেয়ারম্যান? উপজেলা প্রশাসনের কোনো কর্তা কিংবা রাষ্ট্রের কোনো দায়িত্বশীল? তিনি কি একজন বড় আলেম বা মুফতি? মি. হাবিব সাহেবের এমন ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য আলেম ওলামা ইমাম মুয়াজ্জিনসহ দেশের সব জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। আমরাও হাবিব সাহেবের বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি এবং তার বক্তব্য প্রত্যাহার করার আহ্বান জানাচ্ছি।

প্রতিনিধি/এসএস