জেলা প্রতিনিধি
১৬ মে ২০২৫, ০৮:৪৬ পিএম
স্বর্ণের মূর্তি বিক্রির প্রলোভনে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে বগুড়ার শেরপুরে তিন প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাত সাড়ে ৯টায় শেরপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- শেরপুর উপজেলার বিশারপুর ইউনিয়নের সগুনা গ্রামের খোরশেদ আলম ওরফে খুশি (৫৪), আবুল কালাম (৫০) ও ইদ্রিস আলী (৫৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রমজানের আগে পাবনার ঈশ্বরদীর পাকশী ফুরফুরা দরবার শরীফের ওরশে যাওয়ার সময় শেরপুরের খোরশেদ আলমের সঙ্গে পরিচিত হন আসাদুজ্জামান। একপর্যায়ে তিনি খোরশেদকে ধর্ম ভাই হিসেবেও গ্রহণ করেন। এরপর নিয়মিত তাদের মধ্যে মোবাইলে যোগাযোগ হতে থাকে।
খোরশেদ একপর্যায়ে জানান, তার এক আত্মীয় পুকুর খননের সময় ৫০০ গ্রাম ওজনের একটি সোনার মূর্তি পেয়েছেন, যা পাঁচ লাখ টাকায় বিক্রি করা হবে। তবে মূর্তিটি কিনতে হলে আগাম দুই লাখ টাকা দিতে হবে।
উক্ত প্রস্তাবে সম্মত হয়ে গত বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টার দিকে আসাদুজ্জামান তার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে সগুনা গ্রামে খোরশেদের বাড়িতে যান এবং খোরশেদ, আবুল কালাম ও ইদ্রিস আলীর কাছ থেকে একটি সোনালি রঙের মূর্তি গ্রহণ করেন। এ সময় আসাদুজ্জামান নগদ দুই লাখ টাকা দেন।
পরবর্তীতে তিনি মূর্তিটি যাচাইয়ের জন্য শেরপুর শহরের একটি স্বর্ণকারের দোকানে নিয়ে গেলে জানা যায়, সেটি সোনার নয় বরং পিতলের তৈরি। প্রতারণার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে আসাদুজ্জামান অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন, কিন্তু তারা তালবাহানা শুরু করলে তিনি রাতেই থানায় মামলা দায়ের করেন।
শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, মামলার পর পরই অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, এ ধরনের প্রতারণা রোধে সবাইকে আরও সতর্ক হতে হবে।
প্রতিনিধি/ এজে