জেলা প্রতিনিধি
১৪ মে ২০২৫, ০৬:১৮ পিএম
কয়েক দিনের তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল জনজীবন। মানুষ বৃষ্টির জন্য অপেক্ষায় ছিল দীর্ঘদিন। এর মধ্যে শরীয়তপুর সদরসহ কয়েকটি উপজেলায় নেমেছে স্বস্তির বৃষ্টি, সঙ্গে বইছে শীতল বাতাস।
বুধবার (১৪ মে) বিকেল ৪টা ৩০ মিনিট থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। এর আগে, দুপুর ২টা পর্যন্ত শরীয়তপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বুধবার সকাল থেকে সূর্যের তীব্র তাপ থাকলেও বিকেল ৪টার দিকে আকাশে জমে ওঠে ঘন কালো মেঘ। এরপর ৪টা ৩০ মিনিটের দিকে হঠাৎ করে শুরু হয় বৃষ্টি ও দমকা বাতাস। কিছুক্ষণ পর বৃষ্টি ও বাতাস কিছুটা কমে আসে।
আংগারিয়ার বাসিন্দা আশরাফ বলেন, ‘গত কয়েক দিন ধরে গরমে দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল। ঘরেও থাকা যাচ্ছিল না। ফ্যানের বাতাস পর্যন্ত আগুনের মতো গরম লাগছিল। এই বৃষ্টিতে সত্যিই অনেক স্বস্তি পেয়েছি। এখন আবহাওয়াও অনেকটা ঠান্ডা।’
বিলকিস খাতুন নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘গরমে বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়ছিল। এই বৃষ্টির ফলে পরিবেশ ঠান্ডা হওয়ায় খুব ভালো লাগছে।’
শুধু শরীয়তপুর শহর নয়, ডোমসারসহ বিভিন্ন এলাকাতেও বইছে ঠান্ডা বাতাস। এতে জনজীবনে ফিরে এসেছে স্বস্তি। জেলার আরও বেশ কয়েকটি জায়গায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে বলেও জানা গেছে।
প্রতিনিধি/একেবি