images

সারাদেশ

যশোরে কোরবানিতে চাহিদার অতিরিক্ত ১৯ হাজার পশু প্রস্তুত

জেলা প্রতিনিধি

১৪ মে ২০২৫, ০৮:১৬ এএম

ঈদুল আজহা সামনে রেখে কোরবানির পশু প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন যশোর জেলার খামারি ও কৃষকরা। জেলার আটটি উপজেলায় মোট এক লাখ ১৪ হাজার ৫৭৪টি কোরবানির পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে গরু রয়েছে ৩৫ হাজার ৩৩৮টি, ছাগল ৭৮ হাজার ৫২৮টি এবং ভেড়া ৫৮৩টি। শেষ সময়ে এর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, যশোর জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ৯৫ হাজার ৮১২টি। ফলে চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত ১৮ হাজার ৭৬২টি পশু দেশের অন্যান্য জেলায় সরবরাহ করা যাবে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রাশেদুল হক জানান, 'এ বছর পশু বিক্রি থেকে কয়েকশ কোটি টাকার বাণিজ্য হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে কোরবানির পশুর চামড়া দিয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বৃহত্তম চামড়ার মোকাম রাজারহাটের চাহিদা পূরণ সম্ভব হবে, যা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

তিনি আরও জানান, যশোরের আট উপজেলায় নিবন্ধিত খামারের সংখ্যা ১৬ হাজার ৪৩টি এবং গবাদি পশু পালনকারী কৃষকের সংখ্যা ১৪ হাজার ১৩৫ জন। খামারিদের জন্য সচেতনতামূলক বৈঠক ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চলমান রয়েছে, যাতে তারা ক্ষতিকর রাসায়নিক এড়িয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে পশু মোটাতাজা করেন।

এদিকে স্থানীয় খামারিরা অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, পশু মোটাতাজাকরণে কোনো ধরনের হরমোন ব্যবহার করা হচ্ছে না। সদরের রামনগর এলাকার 'আতিফা অ্যাগ্রো ফার্ম’-এর ম্যানেজার মো. নাঈমুর রহমান জানান, 'আমাদের খামারে বর্তমানে ৩২টি উন্নত জাতের ষাঁড় রয়েছে। এদের ওজন ৬০০ থেকে ৭৫০ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। পশুগুলোকে প্রাকৃতিক খাবার যেমন ঘাস, ভুসি ও ভুট্টা খাইয়ে মোটাতাজা করা হয়েছে।'

বাঘারপাড়া উপজেলার ভাঙ্গুড়া এলাকার খামারি টিপু সুলতান বলেন, 'গত বছর বাজার ব্যবস্থার কিছু ত্রুটির কারণে শেষ সময়ে অনেক গরু বিক্রি না হওয়ায় আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হই। এ বছর যেন এ ধরনের পরিস্থিতি না হয়, সে জন্য সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনার দাবি জানাই।'

যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম বলেন, 'এ বছর কোরবানির পশু বিক্রিতে যেন কোনো সমস্যা না হয়, সে জন্য প্রতিটি হাটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। প্রয়োজনে অস্থায়ী হাট বসানোর কথাও বিবেচনা করা হচ্ছে। খুব দ্রুত এ বিষয়ে বৈঠকে বসবেন বলে তিনি জানান।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জানান, জেলার আট উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের পাশাপাশি তিনজন ভেটেরিনারি সার্জন প্রতিটি হাটে তদারকি করবেন। তাদের দায়িত্ব হবে হাটে কোনো গর্ভবতী বা অস্বাস্থ্যকরভাবে মোটাতাজাকৃত পশু বিক্রি হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করা।

প্রতিনিধি/ এমইউ