জেলা প্রতিনিধি
১৩ মে ২০২৫, ০৭:৫২ এএম
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া ট্রান্সফরমার চুরি করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন দুই যুবক।
রোববার (১২ মে) ভোর রাতে উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের বালুর চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাতে বালুর চর এলাকার বিদ্যুতের খুঁটি থেকে ট্রান্সফরমার খুলতে যান দুই যুবক। ট্রান্সফরমারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করেই খুলতে গেলে হঠাৎ করে তারা উচ্চ ভোল্টেজের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তাদের আর্তচিৎকার শুনে স্থানীয়রা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় দু’জনকে উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
![]()
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আরশাদ কবির জানান, আহতের শরীরে ব্যাপকভাবে ঝলসে গেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহতরা হলেন- বাউশিয়া ইউনিয়নের চর কুমারীয়া এলাকার মো. আহমেদ আলীর ছেলে সোহেল রানা (২৬) এবং গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের বালুর চর এলাকার জিতু মিয়ার ছেলে নাঈম (১৭)।
স্থানীয়দের দাবি, এর আগেও এলাকায় একাধিকবার ট্রান্সফরমার, বিদ্যুতের তার ও বিভিন্ন সরঞ্জাম চুরির ঘটনা ঘটেছে।
![]()
এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, গভীর রাতে এমন বিপজ্জনক কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার বিষয়টি শুনে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তারা আরও বলেন, এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন।
এ বিষয়ে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর গজারিয়া জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. আশরাফুল আলম বলেন, ট্রান্সফরমার খুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঘটনা খুবই দুঃখজনক। বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে দেখছি। যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
![]()
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলম আজাদ জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে, এই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই মন্তব্য করছেন, বিদ্যুৎ সরঞ্জাম চুরি করা শুধু আইনবিরোধী নয়, এটি জীবন ঝুঁকিরও ব্যাপার। এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সচেতন এলাকাবাসী।
প্রতিনিধি/এসএস