images

সারাদেশ

চোখ ধাঁধানো ফুলের রাজ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক

জেলা প্রতিনিধি

০৭ মে ২০২৫, ০৭:৩১ পিএম

গ্রীষ্মের শুরুতে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের মহাসড়কে বাহারি ফুলের চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্য যাত্রীদের মন কেড়েছে। এ যেন নানা রকম বৃক্ষ আর ফুলের রাজ্যে। গাছে গাছে থোকায় থোকায় সোনালু, কৃষ্ণচূড়া, জারুল আর রাধাচূড়া ফুলের রাজ্যে। তার দু’পাশে বয়ে গেছে দেশের লাইফলাইন খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। মিরসরাই উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মহাসড়কে দেখা মেলে এমন ফুলের সৌন্দর্য্যের। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এখন আর শুধু একটা পথ নয়; এটা যেন ফুলের বাগান, যেখানে প্রতিদিন প্রকৃতি নিজেই অভ্যর্থনা জানায় হাজারও মানুষকে, ফুলের ভাষায় রঙের ছন্দ।

mir_1

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফুলগুলোর বাহারি শোভা ফুলের সৌন্দয্য পথচলতে যে কাউকে মোহিত করে তুলে। মিরসরাইয়ের বারইয়ারহাট থেকে বড়দারোগারহাট পর্যন্ত প্রায় ২৬ কিলোমিটার এলাকায় সড়ক বিভাজকে ফুটন্ত ফুলের দোল দেখে মনে হবে- প্রকৃতির উষ্ণ অথ্যর্থনা। অপূর্ব সংমিশ্রণে ফুটে থাকা এই ফুলগুলো শুধু চোঁখ জুড়ানোই নয়, বরং যাত্রিক জীবনের মধ্যে প্রকৃতির এক নিঃশব্দ বার্তা। শুধু সৌন্দর্যই নয়, এসব গাছ পরিবেশ রক্ষা ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা রাখে। যান্ত্রিক শহরের ব্যস্ততা, যানজট, আর ক্লান্তিকর যাত্রার মাঝখানে জারুল-সোনালুর ফুল যেন কিছুটা প্রশান্তি এনে দেয়।

mir_2

বৈশাখের এই সময়টাতে বাংলার প্রকৃতিতে বাহারি ফুল অনন্যা শোভা ছড়িয়ে চলেছে। গাছের শাখা ছাপিয়ে ঝুমকোর মতো ঝুলে আছে হলুদে ছাওয়া সোনালু ফুলগুলো। রক্তিম লালে উত্তাপ ছড়াচ্ছে কৃষ্ণচূড়া। জারুল ফুলের বেগুনি রঙ মনমাতানো অপরূপ শোভা যে কারো মনকে ছুঁয়ে যায় নিঃসন্দেহে।

mir_3

কথা হয় মার্কেটিং অফিসার বিমল বাবুর সঙ্গে তিনি বলেন, সরকার যে ফুলগাছ গুলো লাগিয়েছে সেগুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে। ফুলের ঘ্রাণ আমাদের মনকে ফ্রেশ করে। মাঝে মধ্যে আমরা ফুল গাছের নিচে বসে থাকি।

খৈয়াছড়া ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল আলিম বলেন, মহাসড়কের সৌন্দয্যবর্ধনের জন্য সরকার সোনালু, জারুল, কৃষ্ণচূড়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফুল গাছ লাগিয়েছে। এগুলো দেখে খুবই ভালো লাগে। গ্রীষ্মকালের এই গাছের কারণে ছায়া থাকে। মানুষ ছায়ার মধ্যে বসে একটু বিশ্রাম নিতে পারে। সরকারের পাশাপাশি এই গাছগুলো আমাদের পরিচর্যা করা উচিত বলে মনে করি।

mir_4

খৈয়াছড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা নাজিম উদ্দিন বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পর্যটকরা খৈয়াছড়া ঝরণায় ঘুরতে আসেন। পর্যটকরা ঝরণায় ঘুরতে এসে সোনালু, জারুল আর কৃষ্ণচূড়া ফুলের সঙ্গে ছবি তুলেন। পর্যটকের সবচেয়ে বেশি আকর্শন দেখা গেছে ফুলের গাছগুলো প্রতি। 

mir_6

ট্রাক চালক মো. শাকিল বলেন, আমি নিয়মিত ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাতায়াত করে থাকি। সড়কের মাঝখানে ফুলগুলো দেখে আমাদের খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে বৃষ্টির দিনে এই ফুলগুলো দেখতে সুন্দর লাগে।

mir_5

চট্টগ্রাম শহরে নিয়মিত যাতায়াত কারী মো. ইসহাক মিয়া বলেন, যখন বাসে করে শহরে যায় বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে সোনালু এবং জারুল ফুল গুলো দেখতে পাই। এই ফুল গাছ গুলো যেন সবসময় থাকে। 

mir_7

সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোসলেহ্ উদ্দীন চৌধুরী বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক যখন ফোর লেইন করা হয়, তখন সড়কের সৌন্দর্য্য বাড়াতে নানা রকম ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে। আমাদের মোবাইল টিম এগুলোর নিয়মিত পরিচর্যা করে থাকে।

প্রতিনিধি/ এজে