images

সারাদেশ

জয়পুরহাটে বিআরটিএ’র ২ কর্মচারীর বিরুদ্ধে মিললো অনিয়মের প্রমাণ

জেলা প্রতিনিধি

০৭ মে ২০২৫, ০৬:১০ পিএম

ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ির ফিটনেস সনদে ঘুষ লেনদেনসহ দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য রোধে জয়পুরহাট বিআরটিএ (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ) কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (৭ মে) দুপুরে  এই অভিযান পরিচালনা করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত নওগাঁ জেলা কার্যালয়ের ৫ সদস্যের তদন্ত দল। 

অভিযানে দুই কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগের সাক্ষ্য প্রমাণ পেয়েছে দুদকের দলটি। তারা হলেন- বিএমডিএ’র এনরোলমেন্ট এক্সিকিউটিভ মেহেদুল ইসলাম ও আতিকুল ইসলাম। 

অভিযানে নেতৃত্ব দেন দুদকের নওগাঁর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে উপসহকারী পরিচালক মোছা. মেহেবুবা খাতুন রিতা।

এ সময় দুদকের অনুসন্ধানী দল বিআরটিএ অফিসের বিভিন্ন নথিপত্র তল্লাশি করাসহ বেশ কিছু নথি জব্দ করেন। এ ছাড়া লাইসেন্স ও ফিটনেস এবং ফিটনেস প্রদানে বেশ কিছু অসঙ্গতি শনাক্ত করেন অভিযান পরিচালনাকারী দলটি। 

দুর্নীতি দমন কমিশনের নওগাঁর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে উপসহকারী পরিচালক মোছা. মেহেবুবা খাতুন রিতা সাংবাদিকদের বলেন, দালালের সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগও আমরা পেয়েছি। দালালের উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছি। তবে সুনির্দিষ্টভাবে আলাদা কোন দালাল খুঁজে পাওয়া যায়নি। অফিসের কর্মচারীরাই ঘুষ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত আছে এবং দালাল হিসেবে কাজ করছে। আমরা সুনির্দিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করেছি এই অফিস থেকে। এছাড়াও এ ধরণের দুর্নীতি সংঘটিত সরকারী দফতরগুলোতেও আমরা সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুনীতি দমন কমিশন এ ধরণের অভিযান অব্যাহত রাখবে। আমরা যে দু’জন কর্মচারীর অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছি, তাদের রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা, তাদের সংশ্লিষ্টতা, তাদের মোবাইল ফোন, তথ্য,সাক্ষ্য প্রমাণ সবকিছু বিচার বিশ্লেষন করে কমিশনের নিকট প্রতিবেদন পাঠানো হবে’।

বিআরটিএ জয়পুরহাট অফিসের সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, যে দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে তারা বিআরটিএর স্থায়ী কোনো স্টাফ না। তারা বেন্ডর প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিয়োগকৃত এনরোলমেন্ট এক্সিকিউটিভ। দুদকের আভিযানিক দল তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ পাঠানো হবে।

প্রতিনিধি/ এজে