জেলা প্রতিনিধি
০৭ মে ২০২৫, ০৫:৫২ পিএম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শিক্ষার্থী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে গুলিতে ফিরোজ তালুকদার পলাশ গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। পলাশের বাড়ি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা পৌর শহরের ঘাটান্দি গ্রামে। তিনি মরহুম সোহরাব হোসেন ও বেনু বেগমের ছেলে।
সম্প্রতি শহীদ পলাশের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেট্রো চীফ জুডিশিয়াল আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মেট্রো পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসানের আবেদন করেন, যাতে ঢাকা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তার মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের আদেশ দেন।
এরই প্রেক্ষিতে বুধবার (০৭ মে) সকালে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. তারিকুল ইসলামসহ তদন্ত কর্মকর্তা পলাশের লাশ উত্তোলন করতে গেলে মামলার বাদী পলাশের সহধর্মিণী রেশমা সুলতানা লাশ না তোলার জন্য আবেদন করেন।
এ সময় পলাশের বৃদ্ধা মা বেনু বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে তার ছেলের লাশ কবর থেকে উত্তোলনে বাধা দেন। ফলে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে পুলিশ তার লাশ উত্তোলন না করে ফিরে যায়।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. তারিকুল ইসলাম জানান, আদালতের নির্দেশক্রমে শহীদ পলাশের লাশ উত্তোলন করতে চাইলে মামলার বাদী পলাশের স্ত্রী রেশমা সুলতানার আবেদন ও পলাশের মা সহ স্বজনদের আপত্তির কারণে লাশ উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়টি মহামান্য আদালতকে অবগত করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্তরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে অসুস্থ মাকে দেখতে বাড়ি আসার পথে শিক্ষার্থী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষে গুলিতে ফিরোজ তালুকদার পলাশ গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন।
এরপর তাকে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা পৌর শহরের নিজ গ্রাম ঘাটান্দি এলাকায় দাফন করা হয়। তিনি রাজধানীর ঢাকার মিরপুর ১২ নম্বরে সপরিবারে ভাড়া বাসায় থাকতেন এবং রংপুর কেমিক্যাল কোম্পানিতে অফিস সহকারী পদে চাকরি করতেন। তার এক মেয়ে রয়েছে। তিন ভাই-বোনের মধ্যে পলাশ ছিল বড় এবং তিনি ছিলেন একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি।
প্রতিনিধি/একেবি