images

সারাদেশ

রাজশাহীতে ‘আ.লীগপন্থীদের দিয়ে’ বিএনপির কমিটি গঠনের অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি

০৩ মে ২০২৫, ০৭:১১ পিএম

রাজশাহী মহানগর বিএনপির নতুন কমিটি নিয়ে দলীয় তীব্র অসন্তোষ ও বিরোধ দেখা দিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, কমিটিতে আওয়ামী লীগপন্থী ও অতীতে আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। 

শনিবার (৩ মে) বিকেলে নগরীর বাটার মোড়ে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব অভিযোগ তোলা হয়।

বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান নেতার ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে কমিটি বাতিল, বহিষ্কার ও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।

বিক্ষোভকারীদের ব্যানারে লেখা ছিল—‘দখলদার, চাঁদাবাজ, চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ভূতপূর্ব আওয়ামী লীগারদের সমন্বয়ে গঠিত মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড কমিটি বাতিল করতে হবে। নিয়মবহির্ভূত শোকজ ও বহিষ্কার বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন বাবলুর বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িতদের দল থেকে বহিষ্কার ও আইনের আওতায় আনতে হবে।’

সভায় সভাপতিত্ব করেন বোয়ালিয়া থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাইদুর রহমান পিন্টু। বক্তব্য রাখেন ছাত্রদল ও যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, রাজপাড়া থানা বিএনপির সভাপতি শওকত আলী, মতিহার থানা বিএনপির সভাপতি আনসার আলী, শাহ মখদুম থানা বিএনপির সভাপতি মো. মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, মহানগর যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বকুল প্রমুখ।

সমাবেশে আবুল কালাম আজাদ সুইট অভিযোগ করে বলেন, ‘নতুন কমিটিতে এমন অনেককে নেতৃত্বে আনা হয়েছে, যাদের অতীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে। রাজপাড়া থানার আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে একজন স্যানিটারি মিস্ত্রী মিজানকে, যিনি আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। সদস্য সচিব আমিনুল ইসলামও আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিলেন বলে অভিযোগ আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আন্দোলন-সংগ্রামে নিবেদিত নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে বিতর্কিত ও অপরিচিতদের দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে যুবদল নেতা রুহুল আমিন বাবলু সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দেন। এরপরই তার বাড়িতে গভীর রাতে অগ্নিসংযোগ করা হয়, যা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক।’

সমাবেশে আরও অভিযোগ করা হয়, ‘রাজশাহীর বিভিন্ন কমিটিতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সাবেক কর্মীদের যুক্ত করা হয়েছে। এমনকি একাধিক হত্যা মামলার আসামিও এখন বিএনপির একজন সদস্য সচিবের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত রয়েছে।’

বক্তারা অভিযোগ করেন, ‘এই কমিটির নেতৃত্বে থাকা কিছু ব্যক্তি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন বলে সন্দেহ রয়েছে। তারা প্রকৃত বিএনপি নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে দলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন।’

সমাবেশ থেকে অবিলম্বে বিতর্কিত কমিটি বাতিল, হামলার ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি, এবং বিএনপির অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার দাবি জানানো হয়।

উক্ত কর্মসূচিতে ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুর্তজা ফামিম, ইকবাল হোসেন দিলদাল, নাজির, বাধন, আনারুল, শাহানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিনিধি/একেবি