images

সারাদেশ

গোমতীর চরে করলা চাষে কৃষকের মুখে হাসি

জেলা প্রতিনিধি

০৩ মে ২০২৫, ০৩:০৬ পিএম

কিছুদিন আগেও যে গোমতী নদী কুমিল্লাবাসীর গলার কাটা হয়ে হয়েছিল স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায়। এক সময় প্রবাদ ছিল ‘কুমিল্লার দুঃখ, গোমতী নদী’। সেই গোমতী নদীর পাড়ের কৃষকদের চোখে মুখে এখন আনন্দের বন্যা বইছে। গোমতীর চরে করলা চাষ করে পাল্টে গেছে তাদের দিন। কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার গোমতী নদীর চরাঞ্চলের কৃষকরা এবার করলা চাষে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন।

দেবিদ্বারের সীমনগর, চরবাকর, খলিলপুর, আশানপুর, রসুলপুর, মহেশপুর বালিবাড়িসহ চরঘেঁষা বিভিন্ন গ্রামে প্রায় ১০-১২ একর জমিতে এবার উৎপাদিত করলার বাম্পার ফলনে কৃষকদের মুখে ফুটিয়েছে স্বস্তির হাসি। বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় চাষিরা এবার লাভের মুখ দেখছেন। 

thumbnail_1000305481

বালিবাড়ি চরের কৃষক শাহ আলম জানান, এবার ৪০ শতাংশ জমিতে করলা চাষে তার প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু বিক্রি করেছেন প্রায় আড়াই লাখ টাকার করলা। এতে ওই কৃষকের চোখে মুখে আনন্দ আর উচ্ছ্বাস। 

একই এলাকার মাহবুব আলম বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার ফলন অনেক ভালো হয়েছে। পাইকারি বিক্রি করছি ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে। আমার জমি থেকে এবার সাড়ে চার লাখ টাকার করলা বিক্রি করেছি।

আরও পড়ুন

দশানী নদী থেকে পাল্টাপাল্টি বাঁধ অপসারণ, ফিরেছে পানি প্রবাহ, স্বস্তি

কৃষকদের জানান, এবার বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় করলার ফলন ভালো হয়েছে। গোমতী নদীর উর্বর পলিমাটি অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি করলা চাষের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী। এছাড়া বাজারে করলার চাহিদা ও দাম দুটোই ভালো থাকায় চাষিরা ব্যাপক লাভবান হচ্ছেন। 

thumbnail_images_(52)

দেবিদ্বার উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার উপজেলায় প্রায় ৩৫ হেক্টর জমিতে করলার চাষ হয়েছে, যা গত কয়েক বছরের তুলনায় অনেক বেশি। ফলন ও বাজারমূল্যও সন্তোষজনক হওয়ায় এখানকার কৃষকরাও খুশি। উপজেলা কৃষি অফিসার বানিন রায় বলেন, চরাঞ্চলের কৃষকদের আরও উন্নত প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণ দেওয়া হচ্ছে। নিরাপদ ফসল উৎপাদনে আমরা নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে কৃষকদের সহযোগিতা করছি।

thumbnail_images_(54)

এই অঞ্চলে করলার পাশাপাশি অন্যান্য সবজির চাষও হয়। তবে এবারের সাফল্য কৃষকদের মধ্যে নতুন উদ্যমী হতে সৃষ্টি করেছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চাষিদের আরও উন্নত প্রশিক্ষণ ও সহায়তা দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে উৎপাদন আরও বাড়ানো যায়। 

thumbnail_images_(53)

চরাঞ্চলের কৃষকরা আশাবাদী, সরকারি ও বেসরকারি পর্যায় থেকে আরও সহায়তা পেলে তারা আরও বেশি ফসল উৎপাদন করতে পারবেন পাশাপাশি লাভবান হবেন এবং দেশের কৃষি অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন।

প্রতিনিধি/এসএস