images

সারাদেশ

খাবার চুরি, বি‌য়ে না করেই ফি‌রে যা‌চ্ছিলেন বর

জেলা প্রতিনিধি

০২ মে ২০২৫, ০৩:৫০ পিএম

কুমিল্লার দেবিদ্বারে একটি কমিউনিটি সেন্টারের কর্মচারী কর্তৃক খাবার চুরি করা নিয়ে ঘ‌টে গে‌ছে তুলকালাম কাণ্ড। খাবারের স্বল্পতা দেখে বরযাত্রীর অন্তত ৩০ জন অতিথি খাবার না খে‌য়েই ফিরে যায়। এ নিয়ে বরপক্ষ ও কনেপক্ষের মধ্যে চরম ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয় । বি‌য়ে না করেই ফি‌রে যেতে চায় বর। পরবর্তীতে ওই কমিউনিটি সেন্টারের এক‌টি কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে চুরি হওয়া খাবার উদ্ধার করা হ‌লে ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়। দুই পক্ষের মুরুব্বীদের সমঝোতায় বিয়ে সম্পন্ন হয়।  

 বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে দেবিদ্বার পৌর এলাকার মেজবান কমিউনিটি সেন্টারে এই ঘটনা ঘটে। 

জানা গেছে, দেবিদ্বার পৌর এলাকার মেজবান কমিউনিটি সেন্টারে গুনাইঘর উত্তর ইউনিয়নের রেহান উদ্দিনের ছেলে প্রবাসী শাহ জালালের সঙ্গে মুরাদনগর উপজেলার মাস্টার পাড়ার  গ্রামের শের আলীর মেয়ে জান্নাতের বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। ওই অনুষ্ঠানে বর পক্ষের সঙ্গে প্রায় ১২০ জন অতিথি আসেন। বরযাত্রী ব‌্যা‌চের সবাই খাবার খেলেও শেষের দিকে ৩০ জন অতিথির খাবার সংকট দেখা দেয়। এ নিয়ে বরপক্ষ ও কনে পক্ষের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা শুরু হলে এক পর্যায়ে বরযাত্রী ক্ষুব্ধ হয়ে বিয়ে না করেই চলে যেতে চান। 

এদিকে খাবার স্বল্পতার কারণ খুঁজতে গিয়ে কনে পক্ষের লোকজন ওই কমিউনিটি সেন্টারের এক‌টি পরিত্যক্ত কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে বিভিন্ন বালতি ও বলে ঢাকনা দেওয়া অবস্থায় বরযাত্রীর জন্য রান্না করা খাবার ও তবারকের জন‌্য আনা খেজুর দেখতে পায়। বিষয়‌টি কমিউনিটি সেন্টারের মালিক মির্জা তাজুল ইসলামকে জানান। 

বরযাত্রীর সঙ্গে আসা নাঈম বিন মুসা বলেন, বরযাত্রীর সঙ্গে আসা অতিথিরা প্রথম দিকে খাবার পেলেও শেষের দিকে এসে অন্তত ৩০ জন খাবার স্বল্পতা দেখা দেয় । এ নিয়ে বর ও কনে পক্ষের মধ্যে বাক বিতণ্ডা শুরু হয়। পরে  কমিউনিটি সেন্টারের পরিত্যক্ত কক্ষে থেকে বরযাত্রীর জন্য রান্না করা খাবার উদ্ধার করা হয়। 

বরের ভাই কামরুল ইসলাম বলেন, কমিউনিটি সেন্টারে যারা খাবার পরিবেশন করেছেন তারাই খাবার চুরি করে লুকিয়ে রাখে। এক পর্যায়ে যখন খাবার পাওয়া যায় তখন দুই পক্ষ শান্ত হয়। 

কনের বাবা শের আলী বলেন, আমরা  কমিউনিটি সেন্টারের মালিক পক্ষের সঙ্গে ২০০ জন অতিথির খাবার অর্ডার করি। কিন্তু তারা ১৭০ জনের খাবার দিয়ে বাকি ৩০ জনের খাবার চুরি করেন। খাবার চুরি করে তারা আমাদের মান সম্মান নষ্ট করেছে।   

এ বিষয়ে মেজবান কমিউনিটি সেন্টারের মালিক মির্জা তাজুল ইসলাম বলেন, যারা এই কাজে জড়িত তাদের সবাইকে সেন্টার থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এগুলো বয় ও আয়ারা করে থাকতে পারে৷ তবে আমরা দেখেনি। তবে আমাদের কমিউনিটি সেন্টার কোনো পরিত্যক্ত কক্ষ নাই।  

প্রতিনিধি/ এজে