images

সারাদেশ / শিক্ষা

বেরোবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে নাম্বার টেম্পারিং ও যৌন হয়রানির অভিযোগ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:২২ পিএম

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি)  ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তানজিউল  ইসলাম জীবনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও নাম্বার  টেম্পারিংয়ের অভিযোগপত্র জমা পড়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে ফেইসবুকের মাধ্যমে জানতে পারা যায় যে,  একই বিভাগের সাবেক এক শিক্ষার্থীর  অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছে উপাচার্য ও রেজিস্টারের ইমেইলে। সেই অভিযোগপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তিনি শিক্ষক জীবনের বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতন, ভয়ভীতি দেখানো, যৌন হয়রানি ও মার্ক টেম্পারিং করে ফলাফল খারাপ করিয়ে দেয়ার অভিযোগ আনেন।

অভিযোগপত্রে নাম পরিচয় নাম প্রকাশ না করার শর্তে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে  বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্টার বরাবর ইমেইলের মাধ্যমে অভিযোগ পত্র দাখিলের কপি পাওয়া যায়। অভিযোগ পত্রে বলা হয় দেশের বাইরে অবস্থান করায় স্ব-শরীরে হাজির হয়ে অভিযোগ জমা দেওয়া সম্ভব হয়নি। তাই উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার দফতরে ইমেইলের ও হোয়াটসআ্যপের মাধ্যমে লিখিত অভিযোগ পাঠিয়েছে। দাবি হিসেবে তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া সব অন্যায়ের বিচার চেয়েছে।

এর আগে সচেতন শিক্ষার্থীদের নামে এ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ও একটি অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে। গত ১৪ এপ্রিল থেকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই শিক্ষার্থীর সঙ্গে তিনটি অডিও ফাঁস হলে আলোচনায় আসেন।

অভিযোগের ব্যাপারে রেজিস্ট্রার ড. হারুন  অর রশীদ বলেন, ইমেইলে তার অভিযোগটি পেয়েছি এবং তাৎক্ষণিক সেটি  প্রিন্ট করে সংশ্লিষ্ট কমিটির কাছে উপস্থাপন করেছি। অভিযোগকারী তার নাম প্রকাশ করতে নিষেধ করেছেন। তাই আমরা নাম প্রকাশ করতে পারব না। তদন্ত কমিটি শিগগিরই তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেবে বলে আশা করি।

আরও পড়ুন

বেরোবিসাসের বর্ষসেরা ফিচার রিপোর্টার হলেন ঢাকা মেইলের পুলক

অভিযুক্ত সেই শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তানজিউল  ইসলাম জীবন বলেন, হুম আমি অভিযোগটা দেখলাম। এখন এটা প্রশাসন জমা দিয়েছে তাই এখন এটা প্রশাসন দেখবে। আমার এখানে কোনো মতামত নেই। প্রশাসন যদি তদন্ত করে আমার বিরুদ্ধে প্রমাণ পায় তাহলে আমার শাস্তি হবে আর যদি না পায় তাহলে যে অভিযোগ করেছে সে শাস্তি পাবে।

নাম্বার টেম্পারিংয়ের ও যৌন হয়রানির  অভিযোগ বিষয়ক বিশেষ সেলের সদস্য সচিব ড. মো. ইলিয়াস প্রামাণিক বলেন, আমরা  যে অভিযোগ দিয়েছে সেই ব্যক্তিটি অভিযোগকারী কি না। যে রেকর্ডগুলো আমরা পেয়েছি সেগুলো সত্য কি না এটা নিয়ে আমরা পর্যালোচনা করব। শুধু সত্য নাকি মিথ্যা সেটা যাচাই করব। এ পর্যন্ত যার যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে আমরা সেই কাজগুলো নিয়ে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি। ভিসি স্যার এই বিষয় নিয়ে আন্তরিক। শিগগিরই এগুলোর সমাধান হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. শওকত আলী বলেন, আমরা এর আগে যথাযথ মাধ্যমে অভিযোগ পত্র পাইনি কিন্তু এখন পেয়েছি। এবং এটা নিয়ে ইতোমধ্যে কাজও শুরু করে দিয়েছি। আমরা এই জন্য একটি বিশেষ সেল গঠন করেছি। সেলের নাম হচ্ছে নাম্বার টেম্পারিংয়ের ও যৌন হয়রানির  অভিযোগ বিষয়ক বিশেষ সেল। এখানে যে কেউ অভিযোগ দিতে পারে। আমরা অভিযোগকারীর নাম পরিচয় গোপন করে সত্যতা যাচাই  করব। সত্যতা মিললে আমরা আইন অনুযায়ী বিচার করব এতে জিরো টলারেন্স।

প্রতিনিধি/এসএএস