জেলা প্রতিনিধি
২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৪১ পিএম
নেত্রকোনায় সদরে ৮ম শ্রেণি স্কুল পড়ুয়া এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় চার যুবকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বড় বোন বাদী হয়ে নেত্রকোনা মডেল থানায় এ মামলা করেন।
অভিযুক্ত হলেন, জেলা সদরের পুকুরিয়া এলাকার মৃত হানিফ মিয়ার ছেলে মো. নাসিম (২২), মো. মগবুল মিয়ার ছেলে মো. মাসুম মিয়া (২১), মো. সুরুজ মিয়ার ছেলে মো. ফয়সাল মিয়া (২২) ও মো. আইয়ুব আলীর ছেলে সোনালী মিয়া (২৯)।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গতকাল সোমবার রাতে এ মামলা রেকর্ডভুক্ত করা হয়।
বাদীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে যাওয়া আসার সময় রাস্তায় একা পেয়ে অভিযুক্তরা বিভিন্ন অশ্লীল কথাবার্তা বলে উত্ত্যক্ত করতো। তাদের মধ্যে নাসিম ওই ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব করে। প্রত্যাখান করায় ক্ষিপ্ত হয়ে অপহরণ করার হুমকি দিতে থাকে। গত সোমবার বিকেলে সাড়ে ৪টার দিকে ভুক্তভোগী খালাতো বোনের বাড়ি শালজান গ্রামের বেড়ানোর জন্য ভগ্নিপতির সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হন। কিছু দূরে যেতেই নাসিম তার সহযোগীদের সহায়তায় পথ আটকিয়ে পুনরায় প্রেম নিবেদন করলে ওই ছাত্রী প্রত্যাখ্যান করে চলে যেতে চায়। এতে নাসিম ক্ষিপ্ত হয়ে ভুক্তভোগীর ওড়না ও হাতে ধরে টানা হেঁচড়া করে যৌন নিপীড়ন। অন্যরা কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে আহত করে। এক পর্যায়ে টেনে হিঁচড়ে ওই ছাত্রীকে ঘটনাস্থল থেকে নির্জন স্থান নিয়ে যান। এসময় ভুক্তভোগীকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে অভিযুক্তরা ভগ্নিপতিকেও মারধর করে। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে সদর হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রাতেই এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বড় বোন বাদী হয়ে ওই চার যুবকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন।
নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, যৌন নিপীড়নের অভিযোগটি আমলে নিয়ে গতকাল রাতেই রাতেই মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। পরে অভিযুক্তদের গ্রেফতার রাতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তারা পলাতক রয়েছে। তবে তাদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
প্রতিনিধি/এসএস