images

সারাদেশ / শিক্ষা

কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশনে শিক্ষার্থীরা

জেলা প্রতিনিধি

২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:০৫ পিএম

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদকে অপসারণের একদফা দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২১ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ৩টা থেকে স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টার চত্বরে তারা এ অনশনে বসেন।

আমরণ অনশনে বসা শিক্ষার্থীদের অনশন থেকে সরে এসে আলোচনার মাধ্যমে চলমান সংকট সমাধানের জন্য আহ্বান জানাচ্ছেন ছাত্র কল্যাণ পরিচালক ড. মো. আব্দুল্লাহ ইলিয়াস আক্তারসহ শিক্ষকরা।

এক দফা দাবি পূরণে শিক্ষার্থীদের দেওয়া ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম সোমবার দুপুর ৩টায় শেষ হয়। রোববার (২০ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী সৈকত এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইইএম) বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী উপল ভিসির পদত্যাগের ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন।

অপরদিকে সোমবার (২১এপ্রিল) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) চলমান সংকট আলোচনার টেবিলে বসে সমাধান করতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ছাত্র কল্যাণ পরিচালক ড. মো. আব্দুল্লাহ ইলিয়াস আক্তার, সহকারি ছাত্র কল্যাণ পরিচালক রাজু আহমেদ ও ইইই বিভাগের অধ্যাপক মো. আশরাফুল গনি ভুঁইয়া।

সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র কল্যাণ পরিচালকরা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা আলোচনার টেবিলে বসুন, আলোচনা করুন, আশা করি সমস্যার সমাধান হবে। এতে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরে আসবে।

আলোচনার প্রস্তাব গ্ৰহন করলেও আমরণ অনশন কর্মসূচিতে থেকে সরে না এসে অনশনে বসেছেন শিক্ষার্থীরা।

এর আগে ১৪ এপ্রিল (সোমবার) রাতে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটে গত ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারির সহিংসতার ঘটনায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এছাড়াও অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকা শিক্ষা কার্যক্রম আগামী ৪ মে এবং আবাসিক হলগুলো ২ মে খুলে দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। 

এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে রাতেই প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। 

গত দুইদিন ধরে তারা প্রশাসনিক ভবনের সামনে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছিলেন।শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে নিজেরাই একের পর এক হলের তালা ভেঙে প্রবেশ করেন।

উল্লেখ্য, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদলযুবদলের সাথে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত হন। এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম ও হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রোববার (১৩ এপ্রিল) বন্ধ থাকা কুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।