জেলা প্রতিনিধি
২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০৬ এএম
রাজশাহীর পুঠিয়ায় মাদক মামলায় গ্রেফতার এই দুই আসামিকে ছাড়াতে থানায় গিয়ে তদবির করার অভিযোগ উঠেছে পুঠিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও বিএনপির এক কর্মীর বিরুদ্ধে।
রোববার (২০ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে উপজেলার চক জামিরা এলাকা থেকে আরএমপির বেলপুকুর থানা পুলিশের একটি টিম মাদক মামলায় ওই দুজনকে গ্রেফতার করে।
বেলপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ ঢাকা মেইলকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতার আসামিরা হলেন— মৃত বাবু আলীর ছেলে লালন আলী (২৮) ও মুনসুরের ছেলে মো. ফারুক (২৯)। তাদের দুজনেরই বাসা উপজেলার চক জামিরা এলাকায়।
গ্রেফতার এই দুই আসামিকে ছাড়াতে রোববার (২০ এপ্রিল) রাতে বেলপুকুর থানায় গিয়ে তদবির করার অভিযোগ উঠেছে পুঠিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. ওয়াসিম ও দেলোয়ার হোসেন নামে বিএনপির এক কর্মীর বিরুদ্ধে।
সূত্র জানিয়েছে, রাতেই বেলপুকুর থানার ওসির কক্ষে অবস্থান নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেছেন ওয়াসিম ও দেলোয়ার। এছাড়া গ্রেফতার আসামিদের স্বজনরাও বেলপুকুর থানায় আসেন। এ সময় তারাও সেখানে ছাড়ানোর ব্যাপারে আলোচনা করতে থাকেন। উপস্থিত স্বজনদের একজন বলেন, ‘চক জামিরা থেকে ধরেছে। লালন-ফারুক ওরা ৪ জন ছিল। রুবেল পুলিশ দেখে পালিয়েছে, আর একজন ৩ মিনিট আগে চলে গেছে, নয়তো ধরা পড়তো। এদের কাছে একপিরি গাজা পেয়েছে শুধু। এখন কীভাবে ছাড়ানো যায়?’
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পুঠিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. ওয়াসিম ঢাকা মেইলকে বলেন, তদবিরের কথা একেবারে মিথ্যা। বগুড়ার গাবতলীর এক বিএনপির নেতা এসেছিলেন, আর আমাদের ওসি সাহেবের বাড়ি হচ্ছে বগুড়ায়। তাই আমি ওসির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেছিলাম। আমি ক্লিন পলিটিক্স করি, সামনে নির্বাচন করবো। আমার এগুলা নিয়ে মাথা ব্যথা নাই। বরং আমরাই পুলিশকে উৎসাহিত করছি যে, অন্তত মাদকটা নির্মূল হোক যতটুকু সম্ভব।
এ বিষয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মাসুদুর রহমান লিটন ঢাকা মেইলকে বলেন, দলের ভাবমূর্তি যেন ক্ষুণ্ন না হয়, এসব ব্যাপারে আমরা কনসার্ন। এরকম কিছু শুনিনি। আমি অসুস্থ, আমিও বাসা থেকে বের হইনি। তবে আমি খোঁজখবর নিচ্ছি। সাংগঠনিকভাবে যদি এরকম কিছু প্রমাণ আসে, আমরা অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।
আরএমপির বেলপুকুর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ ঢাকা মেইলকে বলেন, এখানে কোনো তদবির শোনা হয় না। আইনগতভাবে প্রত্যেকটারই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তদবির শোনার কোনো সুযোগ নেই। দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে, ছাড়া হবে না।
তবে আসমির স্বজনরা মাদক সেবন অবস্থায় গাঁজাসহ গ্রেফতার করা হয়েছে বলে থানা চত্বরে আলোচনা করলেও ওসি তা অস্বীকার করেছেন। আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘মাদকসহ তো ওইভাবে পাওয়া যায়নি তাদের কাছে। ওদের কাছে গাঁজা পাওয়া যায়নি। তারা মাতলামি টাইপের করছিল, এজন্য নিয়ে এসেছি।
প্রতিনিধি/টিবি