images

সারাদেশ

রাজবাড়ীতে বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম

জেলা প্রতিনিধি

২০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৬ এএম

রাজবাড়ীতে কিছু দিন ধরে বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। রমজান মাসজুড়ে সবজির দাম কম থাকলেও ঈদের পর থেকে বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। 

 রাজবাড়ীর বড় বাজার ঘুরে সবজির এ বাড়তি দামের চিত্র দেখা গেছে। বাজারে ৬০ টাকার নিচে তেমন কোনো সবজি নেই।

বাজারে গিয়ে দেখা যায়, আলু প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, প্রতি কেজি ঝিঙা ৬০ টাকা, সজনে ৮০টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, লম্বা বেগুন ৬০ টাকা এবং গোল বেগুন ৭০টাকা, মরিচ ৬০ টাকা, পেঁপে ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, শসা হাইব্রিড ৪০ এবং দেশি ৫০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা, লাউ ৫০ টাকা পিচ, কলা ৩০ টাকা হালি, কুমড়া ২৫ টাকা কেজি, কচুর লতি ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, রসুন ১৪০ টাকা, পেঁয়াজ ৫০ টাকা, আদা ১২০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে লেবুর দাম কমেছে। লেবু মান ভেদে প্রতি হালি ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

সবজি কিনতে আসা ক্রেতা আকবর আলী বলেন, সবজির দাম অনেক বেড়ে গেছে। রমজানে ১৫০ থেকে ২০০ টাকার বাজার করলে ব্যাগ ভরে যেতো। এখন ২০০ টাকার বাজার করলে ব্যাগের অর্ধেক ভরে। দাম বাড়লে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের অনেক কষ্ট হয়। এ কারণে দরকার সরকারি মনিটরিং ব্যবস্থা। কি কারণে সবজির দাম বাড়ছে, কারা বাড়াচ্ছে এসব বিষয় তদারকি করা খুব জরুরি।  

আরেক ক্রেতা আলম ফকির বলেন, বাজারে সবজির দাম বাড়তি। বিশেষ করে ঈদের পর থেকে প্রতিদিনই সবজির দাম বেড়েই চলছে। ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। পেঁয়াজ কিছু দিন আগেও ছিল ৩৫ টাকা কেজি, যা এখন ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বেগুনের দাম বেড়েছে। 

সবজি দাম বৃদ্ধির কারণ জানিয়ে সবজি বিক্রেতা মো. শহীদ সেখ ও ইমন সেখ বলেন, বাজারে এখন সবজির সরবরাহ আগের তুলনায় অনেকটা কম। মূলত, মৌসুম শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে এবং শীতের সবজি শেষ হয়ে যাওয়ার পর বাজারে আস্তে আস্তে সবজির দাম বাড়তে থাকে। নতুন সবজি আসতে শুরু করেছে। কিছু দিনের মধ্যে নতুন সবজির দাম কমে যাবে। 

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রাজবাড়ী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক কাজী রকিবুল হাসান বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যেন স্বাভাবিক থাকে এবং নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকে সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আমরা নিয়মিত বিভিন্ন হাট-বাজারে অভিযান চালাচ্ছি। আর্থিক জরিমানাসহ অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগেও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে।

প্রতিনিধি/ এমইউ