বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৪১ পিএম
জুলাই গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ কর্তৃক দেশব্যাপী অপতৎপরতার বিরুদ্ধে ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বরে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় ‘অ্যাকশন টু অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘খুনি লীগের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘আলি রায়হান মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘দিয়েছি তো রক্ত; আরও দেব রক্ত’, ‘আওয়ামী লীগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘আমার সোনার বাংলায়, আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই’ ইত্যাদি স্লোগানে ক্যাম্পাস মুখরিত করেন শিক্ষার্থীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী সজিব বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানিতে নাৎসি পার্টি গণহত্যা চালানোর দায়ে নিষিদ্ধ হয়েছিল। তারা এখনও নিষিদ্ধ হয়ে আছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ দেশে গণহত্যা চালানোর পরও এখনও নিষিদ্ধ হচ্ছে না। যে আওয়ামী লীগের গায়ে শাপলা হত্যাকাণ্ড, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের রক্ত লেগে আছে, সেই আওয়ামী লীগকে কোন স্বার্থ বাস্তবায়ন করার জন্য তাদেরকে নিষিদ্ধ করছে না, তা আমার জানা নেই। অন্তর্বর্তী সরকারকে বলব, আপানারা অতিদ্রুত গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেন। সারাবাংলার ছাত্র-জনতা আপনাদের সঙ্গে আছে।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, ৫ আগস্টে আমরা আওয়ামী লীগকে দাফন করলেও আমাদের কাছে ডেথ সার্টিফিকেট নেই। আমরা আওয়ামী লীগের ডেথ সার্টিফিকেট চাই। যেসব রাজনৈতিক দল আজ আওয়ামী লীগের প্রতি নমনীয়তা দেখাচ্ছে তাদের জানিয়ে দিতে চাই, ৫ আগস্ট না আসলে জামায়াত-বিএনপি সবাই ৫ আগস্টের দায় নিয়ে নিষিদ্ধ হতে হতো। আমরা ইন্টেরিমকে জানাতে চাই, আপনারা অনতিবিলম্বে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে সংস্কার ও নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন, তা না হলে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে আবারও রাজপথে নামতে রাজি আছে ছাত্র জনতারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাবি শাখার আরেক সাবেক সমন্বয়ক ফাহিম রেজা বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে তারা রাজনীতি করে নাই, তারা রাজনীতির নামে ফ্যাসিবাদের চর্চা করেছে। শেখ মুজিব যখন ক্ষমতায় আসে, তিনি গণতন্ত্রকে ধূলিসাৎ করে বাকশাল গঠন করেছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর, পুরো নির্বাচন ব্যবস্থা আওয়ামী লীগ নষ্ট করে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পৃথিবীতে আমরা দেখেছি, যেই দেশেই কোনো রাজনৈতিক দল গণহত্যায় জড়িয়েছে, তারা আর কখনও রাজনীতি করার সুযোগ পায়নি। এই আওয়ামী লীগ যে শুধু গণহত্যা করেছে তা নয়, তারা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকেও বিনষ্ট করেছে। সুতরাং আওয়ামী লীগকে অনতিবিলম্বে বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অথবা গণভোটের মাধ্যমে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।
প্রতিনিধি/এসএস