images

সারাদেশ

খাগড়াছড়িতে অপহৃত ৫ শিক্ষার্থীর খোঁজ মেলেনি, অভিযান অব্যাহত

জেলা প্রতিনিধি

১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৫৯ পিএম

খাগড়াছড়িতে অপহৃত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পাঁচ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা যায়নি। তাদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকাল থেকে খাগড়াছড়ি শহরের মধুপুর, নোয়াপাড়া, নিউজিল্যান্ড, চাবাই সড়ক, পানখাইয়াপাড়াসহ একাধিক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেছে নিরাপত্তা বাহিনীকে।

পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (জেএসএস) কেন্দ্রীয় সভাপতি নিপুণ ত্রিপুরা বলেন, ‘পিসিপি চবি শাখা সদস্য রিশন চাকমা ও তাঁর চার বন্ধুকে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের গিরিফুল এলাকা থেকে তুলে নেওয়া হয়। ইউপিডিএফের প্রসীত খীসা পক্ষ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের নিয়ে আমরা খুবই শঙ্কায় আছি। আমরা তাঁদের দ্রুত নিঃশর্ত মুক্তি চাইছি।’

রিশন চাকমা ছাড়াও অপহরণের শিকার শিক্ষার্থীরা হলেন- চবির চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী মৈত্রীময় চাকমা, নাট্যকলা বিভাগের দিব্যি চাকমা, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের লংঙি ম্রো এবং চারুকলা বিভাগের অলড্রিন ত্রিপুরা। তাঁরা প্রত্যেককে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

১৬ এপ্রিল সকালে কুকিছড়া থেকে অটোরিকশা যোগে খাগড়াছড়ি সদরে আসার পথে গিরিফুল নামক এক জায়গায় তাঁদের গাড়ি আটকানো হয়। এ সময় টমটম গাড়ির চালকসহ পাঁচ শিক্ষার্থীকে অজ্ঞাত স্থানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে চালককে ছেড়ে দিলেও পাঁচজন শিক্ষার্থীর খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি।

এদিকে অপহরণের ঘটনায় নিন্দা ও তাদের দ্রুত উদ্ধারের দাবি জানিয়ে একটি বিবৃতি পাঠিয়েছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে অধ্যয়নরত ‘আদিবাসী’ শিক্ষার্থীরা। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভুবন চাকমা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিবৃতিতে বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়, ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এ অপহরণ ঘটনার সঙ্গে জড়িত।

তবে প্রথম দিন থেকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন ইউপিডিএফের অন্যতম জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা। তিনি বলেন, অপহরণের সঙ্গে আমাদের সংগঠনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এই ধরনের প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতি আমাদের দল করে না। আমরা শুরু থেকে ভাতৃঘাতী সংঘাতের বিপক্ষে।

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল বলেন, আমরা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের অবস্থান শনাক্ত করে উদ্ধারের চেষ্টা করছি। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

প্রতিনিধি/ এজে