জেলা প্রতিনিধি
১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৯ পিএম
বরিশাল সিটি করপোরেশনে ২০২৩ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনী ফল বাতিল চেয়ে মামলা করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বরিশাল সদর সিনিয়র সহকারী জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করেন তিনি।
এ মামলায় ৬ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে বিবাদী করা হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী শেখ আবদুল্লাহ নাসির।
মামলার আসামিরা হলেন, বিসিসির মেয়র পদের নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত, গোলাপ ফুল প্রতীকের প্রার্থী মিজানুর রহমান বাচ্চু, হরিণ প্রতীকের আলী হোসেন হাওলাদার, হাতি প্রতীকের আসাদুজ্জামান, লাঙল প্রতীকের ইকবাল হোসেন তাপস এবং টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন।
আইনজীবী নাসির বলেন, আদালত আমাদের আর্জি শুনেছেন। আমরা আদালতকে জানিয়েছি স্বৈরাচার সরকারে নির্বাচনে হাতপাখা প্রতিকের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মু. ফয়জুল করীম জয়ী হলেও তাকে পরাজিত ঘোষণা করা হয়েছে। তাকে প্রতিটি কেন্দ্রে প্রতিহত করেছে স্বৈরাচারের লোকজন। তার উপরে হামলা হয়েছে। এসব বিষয়ে প্রতিকার চাইলেও তৎকালীন নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছিলেন, তিনিতো (হাতপাখা প্রতিকের প্রার্থী) ইন্তেকাল করেন নাই। এই ইন্তেকাল কমিশন হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থীকে পরিকল্পিতভাবে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগের হয়ে পরাজিত ঘোষণা করেছে। তখন আইনি ব্যবস্থা এমন ছিল যে আমরা চাইলেও কোথাও প্রতিকার পাইনি। ৫ আগস্টের পরে পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় আমরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।
আইনজীবী বলেন, বর্তমানে বিসিসি প্রশাসন দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। এতে নগরবাসী কোনো নাগরিক সেবা পাচ্ছে না। আমরা চাই ২০২৩ সালের বিসিসি নির্বাচনের ফলাফল বাতিল ঘোষণা করে আদালত জনগণের প্রতিনিধি ফয়জুল করীমকে বিজয়ী ঘোষণা করবেন।
আইনজীবী শেখ আবদুল্লাহ নাসির বলেন, আদালত আমাদের বক্তব্য শুনেছেন। পরবর্তী শুনানিতে আদালতের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরবেন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১২ জুন বিসিসির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাই আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন অপর ৬ প্রার্থী। নির্বাচনে হাতপাখা প্রতিকের প্রার্থী ফয়জুল করীমের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এঘটনায় বিতর্কিত মন্তব্য করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। যা নিয়ে সারা দেশে সমালোচনা শুরু হয় এবং তার পদত্যাগের দাবি ওঠে। পরবর্তীতে হাতপাখার প্রার্থীর কাছে ক্ষমা চান সাবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। ওই নির্বাচনে প্রকাশিত ফলাফলে বিজয়ী প্রার্থী নৌকা প্রতীকের আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ ৮৭ হাজার ৮০৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুফতি সৈয়দ মু. ফয়জুল করীম পেয়েছিলেন ৩৩ হাজার ৮২৮ ভোট।
প্রতিনিধি/ এজে