images

সারাদেশ

বর এসএসসি পরীক্ষার্থী-কনে ১০ম শ্রেণির, কবুল বলার মুহূর্তে বিয়ে বন্ধ

জেলা প্রতিনিধি

০৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২৪ পিএম

বর এসএসসি পরীক্ষার্থী। কনে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। কিন্তু কবুল বলার আগ মুহূর্তে ভ্রাম্যমাণ আদালত উপস্থিত হয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন। জরিমানা করা হয় বর ও কনের অভিভাবককে। একইসঙ্গে তাদের কাছ থেকে মুচলেকা আদায় করা হয়।

বুধবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে দুই পরিবারের উপস্থিতিতে বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিলো। ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামের। বর ও কনে একই গ্রামের বাসিন্দা। বর এসএসসি পরীক্ষার্থী ও কনে নূরপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। 

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদ পাওয়ার পর বুধবার দুপুরে পুলিশসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছান এসিল্যান্ড সারোয়ার। বিয়ের আয়োজন প্রায় শেষ হয়ে আসলেও, তার আগেই আইন প্রয়োগ করে বিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

কনের অভিভাবক মো. সামছুল হক এবং বরের অভিভাবক মো. শাহেদ মিয়াকে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭ এর ৮ ধারা লঙ্ঘনের জন্য চার হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। 

এছাড়া, তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয় যে, কনের ১৮ এবং বরের ২১ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেওয়া হবে না।

এ বিষয়ে নূরপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সভাপতি মো. আশরাফ উদ্দিন বলেন, এলাকার মানুষ অল্প বয়সে ছেলে-মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার প্রবণতা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে প্রশাসন। এসিল্যান্ড খবর পেয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছেন, যা আমাদের জন্য একটি বড় সাফল্য।

এসিল্যান্ড কাজী রবিউস সারোয়ার বলেন, বাল্যবিবাহ একটি সামাজিক অপরাধ এবং এটি আমাদের সমাজের জন্য ক্ষতিকর। আমরা চাই না, কোনো কিশোর বা কিশোরীর ভবিষ্যৎ ভুল সিদ্ধান্তের কারণে নষ্ট হোক। আইন সবার জন্য সমান, এবং আমরা আইন মেনে দায়িত্ব পালন করেছি।

এ ঘটনাটি এলাকার লোকজনের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে সাহায্য করবে এবং বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে আরও কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় প্রশাসন।

প্রতিনিধি/এজে