জেলা প্রতিনিধি
০৯ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৩৪ পিএম
নাটোরের লালপুরে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুবেল উদ্দিনকে থানা থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দিবাগত রাতে লালপুর উপজেলার নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়।
এর আগে ওই দিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে লালপুর থানায় এ ঘটনা ঘটে।
লালপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক ঢাকা মেইলকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রুবেল উদ্দিন লালপুর উপজেলার গৌরিপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
আটকরা হলেন— রুবেল উদ্দিনের বোন রুপা খাতুন (২৫), ফারজানা ইয়াসমিন বৃষ্টি (২০) ও কদিমচিলান ইউনিয়নের বাসিন্দা ও যুবদল নেতা মাসুদ রানা।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ ডিসেম্বর বাগাতিপাড়া উপজেলায় বিএনপি নেতার বাড়িতে গুলি বর্ষণের ঘটনায় মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রুবেলকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ফারজানা সারমিন পুতুলেরর সমর্থকরা থানায় এসে গ্রেফতার রুবেলকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য পুলিশকে চাপ দেয়। এ সময় পুলিশ ছেড়ে দিতে অসম্মতি জানালে একপর্যায়ে হট্টগোল করে থানা থেকে তাকে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায় নেতাকর্মীরা।
এবিষয়ে নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ফারজানা সারমিন পুতুল বলেন, পুলিশ আমাকে ফোন করে জানায় যে, আপনার সমর্থকরা থানা থেকে আসামি ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। আমি বলি কিভাবে আসামি ছিনিয়ে নিয়ে গেল? পুলিশ কোথায় ছিল? এসপি এবং ডিআইজিকে বলেছি দ্রুত আসামিকে গ্রেফতার করতে। স্থানীয় পুলিশ সদস্যরা আমাকে জানায় ওসির সহযোগিতা ছাড়া আসামি ছাড়িয়ে নেওয়া সম্ভব নয়।
পুতুল আরও বলেন, যারা বিএনপির নাম ব্যবহার করে এই কাজ করেছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। পাশাপাশি বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের ঊর্ধ্বতন নেতাদের প্রতি এসব দুষ্কৃতকারীর বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করছি।
লালপুর থানা পুলিশের ওসি নাজমুল হক ঢাকা মেইলকে বলেন, এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। জড়িত অন্যান্যদের আটকে যৌথবাহিনী অভিযানে রয়েছে।
নাটোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন বলেন, আটকের পর থানার ভিতরে ছাত্রদলের কিছু লোকজন এসে পুলিশের কাছ থেকে আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় পুলিশের কোনো গাফলতি আছে কি না তা তদন্ত করা হচ্ছে। এবং আসামি ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় যৌথবাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রতিনিধি/টিবি