জেলা প্রতিনিধি
০৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:১৬ এএম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর সীমান্তে মো. মুরাদ মিয়া ওরফে মুন্না (৩৬) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের সেজামোড়া সীমান্তবর্তী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মো. মুরাদ মিয়া ওরফে মুন্না জেলার বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের সেজামুড়া গ্রামের মো. ফজলুর রহমানের ছেলে। ঘটনার পর রাতে নিহতের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন পরিবারের সদস্যরা। মৃতের শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নিহতের স্বজনরা জানান, মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে জমিতে কৃষি কাজ করার সময় ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ সদস্যরা মুরাদকে কাটা তারের কাছ থেকে ধরে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে দুই দেশের সীমান্তের শূন্য রেখায় ফেলে রেখে যায় বিএসএফ। খবর পেয়ে স্বজনেরা স্থানীয় মুকন্দপুর বিজিবি সদস্যদের সহযোগিতায় মুরাদকে উদ্ধার করেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মুরাদ মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বড় বোন আমেনা খাতুন বলেন, আমার ভাইকে বিএসএফ ধরে নিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।
নিহতের স্ত্রী রত্না বেগম বলেন, আমার স্বামীর সারা শরীরে পিটিয়ে কালো বানিয়ে মেরে ফেলছে। আমি এখন দুই শিশু সন্তান নিয়ে কোথায় যাব? এ বলে বার বার কান্নায় মূর্চ্ছা যাচ্ছেন। তিনি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫ বিজিবি সরাইল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল ফারাহ্ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানান, মুরাদ মিয়া ভারতীয় সীমান্ত অতিক্রম করার পর তাকে মারধর করা হয়। তাকে বিএসএফ নাকি চোরাকারবারিরা পিটিয়েছে, তা আমরা এখনও নিশ্চিত নই। তবে এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
প্রতিনিধি/টিবি