images

সারাদেশ

বাম হাত অবশ হওয়ার শঙ্কায় দিন কাটছে আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ সোহানের

জেলা প্রতিনিধি

০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২১ এএম

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে গিয়ে বাম হাতসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুলি লেগেছিল মো. সোহান বিশ্বাসের (২৯)।

গত ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট দুপুরে নড়াইল সদর উপজেলার মালিবাগ ও নাকশি-মাদরাসা এলাকায় চলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার প্রচণ্ড বিক্ষোভ। ওই বিক্ষোভে স্বতর্স্ফূতভাবে অংশ নিয়েছিলেন নড়াইল সদর উপজেলার বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের মো. মতিয়ার রহমানের ছেলে রাজমিস্ত্রী মো. সোহান বিশ্বাস।

সেদিন আওয়ামী লীগ ও পুলিশের নির্বিচার গুলিতে ক্ষত-বিক্ষত হয়েছিলেন তিনি। আজও শরীরে বয়ে বেড়াচ্ছেন বুলেট আর আঘাতের ক্ষতচিহ্ন। সেই ছররা গুলির একটি রোববার (৬ এপ্রিল) নড়াইল সদর হাসপাতালে অপারেশন করে বের করা হলেও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এখনও গুলি রয়েছে বলে জানান সোহান। এর আগে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে ঘটনার ২ মাস পর বাঁ হাতে অপারেশন করা হলেও অবশভাব এখনও কাটেনি। ফলে বাঁ হাত চিরতরে অবশ হওয়ার শঙ্কায় দিন কাটছে রাজমিস্ত্রী সোহানের।

গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়ে সোহান বিশ্বাস বলেন, ছাত্রদের যৌক্তিক দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নেন তিনি। ছাত্র-জনতার ডাকা কর্মসূচিতে ৪ আগস্ট দুপুরে নাকশি-মাদরাসা এলাকায় অবস্থিত পেট্রোল পাম্পের সামনে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তার বাম হাতসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুলি লাগে। এ সময় উপস্থিত কয়েকজন তাকে প্রথমে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তীতে তাকে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই হাসপাতালে ২ মাস ভর্তি থেকে চিকিৎসা নেন তিনি। সেখানেই বাম হাতে অপারেশন করা হয়। সহযোগিতা হিসেবে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে এক লাখ টাকা পেয়েছেন। আর কোথাও থেকে সহযোগিতা পাননি।

নড়াইল সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সোহানের চাচা বি এম ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, আমার ভাইপোর জন্য উন্নত চিকিৎসার একান্ত প্রয়োজন। যারা তাকে গুলি করছে তাদের বিচার চাই। একই সঙ্গে আমার ভাইপোর ভবিষ্যতের জন্য সরকার যেন একটা ব্যবস্থা করে দেয় সেই অনুরোধ করছি। সরকার যেন আমাদের অনুরোধটি বিবেচনা করে।

প্রতিনিধি/টিবি