ইফতারের সময় শিশুকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত গ্রেফতার, বাড়িতে আগুন

পাবনার বেড়ায় প্রতিবেশি ছয় বছরের এক শিশুকে দশ টাকার লোভ দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ধর্ষকের বাড়িঘরে ভাঙচুর ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে।

গোলজার হোসেন (৪০) নামের অভিযুক্ত ধর্ষককে এলাকাবাসী আটক করে বেড়া থানায় হস্তান্তর করেছেন।

শনিবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বেড়া পৌর এলাকার শেখপাড়া মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত গোলজার হোসেন শেখ পাড়া মহল্লার মৃত সুলতান শেখের ছেলে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শিশুটি ইফতারের আগ মুহূর্তে ধর্ষকের বাড়ির পাশ দিয়ে বাড়ি ফিরছিল। এসময় আশপাশে কোনো লোকজন না থাকায় শিশুটিকে দশ টাকার লোভ দেখিয়ে তার বাড়ির একটি রুমে নিয়ে ধর্ষণ করে। এসময় তিনি শিশুটির শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। একপর্যায়ে শিশুটিকে পাশবিক নির্যাতন করেন। পরে শিশুটি রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ি গিয়ে তার মায়ের কাছে ঘটনা বললে পরিবারে লোকজন শিশুটিকে দ্রুত বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থার অবনতি হলে পাবনা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ঘটনাটি পর জানাজানি হলে এলাকাবাসী ধর্ষকের বাড়িঘরে ভাঙচুর ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তাহমিনা সুলতানা নীলা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে আহত অবস্থায় শিশুটিকে হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত টিকিৎসক দেখতে পায় শিশুটির যৌনাঙ্গ ও পায়ুপথ দিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছিল। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে পাবনা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওলিউর রহমান জানান, খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এলাকাবাসীর সহায়তায় অভিযুক্ত ধর্ষক গোলজার হোসেনকে আটক করা হয়। তবে পুলিশ পৌঁছানোর আগেই বিক্ষুব্দ জনতা ধর্ষকের বাড়িঘর ভাঙচুর ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এখন এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ধর্ষককে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

প্রতিনিধি/এসএস