জেলা প্রতিনিধি
১৮ মার্চ ২০২৫, ১২:৪৪ পিএম
টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর ওপর দেশের সর্ববৃহৎ বহুল প্রতিক্ষিত দুই লাইনের রেলসেতুর উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা রেল সেতু পূর্ব প্রান্তের ইব্রাহিমাবাদ রেল স্টেশন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উদ্বোধনী ট্রেনটি ১২০ কিলোমিটার গতিতে সেতু পার হয়। ৪.৮ কিলোমিটার মূল সেতু পার হতে ৩ মিনিট ২১ সেকেন্ড সময় লাগে।
এর আগে হুইসেল বাজিয়ে অতিথি, যাত্রী ও সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বেলা ১২টা ৬ মিনিটে উদ্বোধনী ট্রেনের হুইসেল দেওয়া হয়।
এরপর বেলা ১২টা ৯ মিনিটে ট্রেনটি সিরাজগঞ্জ পশ্চিম প্রান্তের সয়দাবাদ রেল স্টেশনের উদ্দেশে যাত্রা করে। পরে বেলা ১২টা ১৯ মিনিটের দিকে সায়দাবাদ রেলস্টেশনে পৌঁছে ট্রেনটি। ১২০ কিলোমিটার গতিতে ছুটে ট্রেনটির মূল সেতু পার হতে ৩ মিনিট ২১ সেকেন্ড সময় লাগে।
এই উদ্বোধনী ট্রেনটিতে দুই পাশে ২টি লোকোমেটিভ ইঞ্জিল, ৬টা কোচের মধ্যে ২টা এসি চেয়ার, ১টি শোভন কোচ, ১টি ডাইনিং কার, ১টি পাওয়ার কার রয়েছে।
এর আগে সকালে উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতার শুরু হয়। বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে সেতু উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত মি. সাইদা শিনিচি, দক্ষিণ এশিয়া বিভাগ (জাইয়া) মহাপরিচালক মি. ইতো তেরুয়ুকি।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সমান্তরাল ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাকের এ সেতুর প্রতিটি স্প্যানের ওপর জাপানিদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির রেললাইন বসানো হয়েছে। এর ফলে সেতুর ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচল করতে পারবে।
যমুনা রেলসেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, জাপান ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ প্রকল্পটির ব্যয় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ অর্থায়ন এসেছে দেশীয় উৎস থেকে এবং ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ ঋণ দিয়েছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি-জাইকা।
প্রতিনিধি/এসএস/ইএ