জেলা প্রতিনিধি
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৫৪ পিএম
চলতি বছরের ডিসেম্বর অথবা ২০২৬ সালের জুনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: ‘কেউ সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা হলে তাকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে’
এর আগে নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম-২০২৫ ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইসি।
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ইলেকশনের সময়টা এই মুহূর্তে ইলেকশন কমিশনের হাতে নেই। প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য থেকে আমরা একটা ধারণা পাই। তিনি বলেছেন - ‘সংস্কার কার্যক্রম যদি সংক্ষিপ্ত আকারে করতে হয়, রাজনৈতিক দলগুলো যদি সেই পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়ায় তাহলে আগামী ডিসেম্বর মাসে নির্বাচন। আর সংস্কার কার্যক্রম যদি আরেকটু দীর্ঘ করতে দেওয়া হয়, সে ক্ষেত্রে ২০২৬ সালের জুনে নির্বাচন করা সম্ভব।’
আরও পড়ুন: গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিল
স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে এক প্রশ্নে ইসি বলেন, স্থানীয় নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশন নেয় না। নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব হচ্ছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আয়োজন করা। আমাদের অতিরিক্ত দায়িত্বের অংশ হিসেবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তথা সরকার যখন সিদ্ধান্ত নেয়, তখন আমরা সেই নির্বাচন অনুষ্ঠান করে দেই। সুতরাং স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে কি - হবে না, কবে হবে, এটা সরকারই সিদ্ধান্ত নিবে। যখন সিদ্ধান্ত নিবে তখন আমরা জানতে পারবো।
বিগত বিতর্কিত নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের ব্যাপারে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আমরা যারা বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছি, আমরাও আইনের ঊর্ধ্বে নই। কেউ যদি নিজে সুপরিকল্পিতভাবে এবং নিজে সংশ্লিষ্ট থেকে কোনো অপরাধ করে থাকে, তাকে আইন আদালতের সামনে যেতে হতেই পারে। এটা নির্বাচন কমিশনের বিষয় নয়, আইন আদালতের বিষয়। এ সময় রোহিঙ্গা ইস্যুতে সবাইকে সচেতন থাকারও আহ্বান জানান ইসি।
এর আগে রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন - রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার ও জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল আলম।
প্রতিনিধি/ এমইউ