জেলা প্রতিনিধি
২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩০ এএম
পঞ্চগড়ে আবারও বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এতে তীব্র কনকনে ঠান্ডায় স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। তাপমাত্রা নেমেছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ঠান্ডা বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে । এতে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। তবে গত কয়েক দিন ধরে এ জেলার তাপমাত্রা ১০ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ঘরে ওঠা-নামা করছে। এতে বিপাকে পড়েছেন উত্তরের এ জনপদের নিম্ন আয়ের মানুষ।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় তেঁতুলিয়ায় ১০ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৯ শতাংশ।
তেঁতুলিয়ার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে পঞ্চগড়ে পৌষ মাসের মাঝামাঝি থেকে কনকনে ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশায় আবৃত হয়ে পড়েছে চারদিক। সেখানে বৃষ্টির মতো ঝরছে শিশির। শীতার্তরা তীব্র কষ্টে দিন পার করছেন। দিনমজুর, চা ও পাথর শ্রমিক শ্রেণির মানুষেরা শীতের তীব্রতায় কাজও করতে পারছেন না। ফলে আয় কমেছে তাদের। এসব কারণে এ জেলার শীতার্ত ও ছিন্নমূল মানুষের রাত কাটে এখন অসহনীয় দুর্ভোগে। শীতের একেকটি রাত যেন তাদের কাছে দুঃস্বপ্ন।
অপরদিকে কয়েক দিন ধরে টানা ঠান্ডার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধারা। প্রায়ই সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তারা।
এ বিষয়ে তেঁতুলিয়ার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের সহকারী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় ঢাকা মেইলকে বলেন, কয়েক দিন পর আবারও পঞ্চগড়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বইছে। বুধবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৯ শতাংশ। এর আগে সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। তবে আকাশ ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকায় সূর্যের তাপ ভূপৃষ্ঠে পুরোপুরি আসছে না। এ কারণে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। সামনে দিকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
প্রতিনিধি/ এমইউ