বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
০৬ জুন ২০২২, ১০:২৭ এএম
বাম হাতের কব্জি ভেঙে গেছে। মুখে কথা বলতে পারছেন না। চেহারাও ঝলসে গেছে। রাসায়নিকের কারণে অন্যান্য দগ্ধদের মতো তারও চোখে সমস্যা দেখা দিয়েছে। কিছুক্ষণ পরপরই চোখে মলম লাগাতে হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিশেষ অঙ্গও। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছেন সারাক্ষণ।
বলছিলাম সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে অগ্নিদগ্ধ হওয়া মো. সুমনের (৩৫) কথা। তার দায়িত্বে থাকা গাড়িটিকে নিরপদ স্থানে রাখতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন তিনি।
সুমন ভোলার চরফ্যাশন থানার বাসিন্দা। আট ও পাঁচ বছর বয়সী দুটি সন্তানের বাবা মো. সুমন। তিনি সেই কনটেইনার ডিপোতে ড্রাইভার কর্মী হিসেবে কাজ করতেন।
শনিবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি ঢাকা থেকে গার্মেন্টসের মালামাল ভর্তি কাভারভ্যান নিয়ে ডিপোতে ঢুকেছিলেন। এসময় তার পাশেই কয়েক কনটেইনারে আগুন লাগা দেখতে পান তিনি। তাই মালামালগুলো নিরাপদ দুরত্বে রেখে গাড়িটি নিরাপদ স্থানে নিতে চাচ্ছিলেন তিনি। এমন সময়ে সেই মর্মান্তিক আগুনের মুখে পড়েন তিনি। মো. সুমন পতিত হলেন সেই কনটেইনার বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের মতো হৃদয়বিদারক ট্রাজেডিতে—এমনটাই বলছিলেন মো. সুমনের শ্বশুর মো. আকতার হোসেন।
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের ঘটনায় সুমন জীবন নিয়ে ফিরলেও মর্মান্তিকভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন তিনি। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
উল্লেখ্য, শনিবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি এলাকার বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত হয়েছেন প্রায় ৪৯ জন।
টিবি