জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
০৫ জুন ২০২২, ০৮:২৬ পিএম
সীতাকুণ্ডের মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুরো দেশে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। চট্টগ্রামের সর্বস্তরের মানুষ যে যার মতো করে অগ্নিদগ্ধদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। কেউ পুড়ে অঙ্গার হওয়া দেহগুলো বের করে হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসছেন। এরমধ্যেও দিনভর কিছু মানুষ ছুটছেন এদিক থেকে ওদিকে। এরা কেউ খুঁজছেন প্রিয় সন্তানকে, কেউ আবার ভাই, কেউ খুঁজছেন তার বাবাকে। কারো প্রিয় স্বামীর খোঁজ না মেলায় এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ছুটছেন।
কারো হাত শেষ স্মৃতি হিসেবে ছবি, কারো আবার মোবাইলে ধারণ করা ছবি নিয়ে পাগল প্রায় হয়ে ছুটতে দেখা গেছে তিনভর। যদিও আগুনের তাপে বেশিরভাগেরই চেহারা চেনা দায় হয়ে গেছে।
এমন ভাগ্যবরণ যাদের করতে হয়েছে তাদের লাশ ডিএনএ পরীক্ষা করে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
কিছু সময় বাদে বাদে স্বজনরা বলছেন জীবিত অথবা মৃতু যেভাবেই হোক তারা সন্তান, ভাইদের খুঁজে বের করে দেয়া হোক।।
এদিকে নিহতদের লাশ শনাক্তে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে বলে জানিয়ে পিবিআই পুলিশ পরিদর্শক মো. মনির হোসেন। তিনি বলেন, আঙুলের ছাপের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে ১৭ জনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। যাদের আঙুলের ছাপ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না তাদের ডিএনএ পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে শনাক্ত করা হবে।
শনিবার রাতে লাগা বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুনের লেলিহান শিখায় সব কিছু ভস্মীভূত হয়ে গেছে। বিকট শব্দের বিস্ফোরণে আশপাশের কয়েক মাইলজুড়ে মানুষের ঘু। ভেঙে গেছে। ওই এলাকার ভবনের জানালার গ্লাস টুকরো টুকরো হয়ে গেছে।
এদিকে নিহত আর আহতদের স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে চট্টগ্রামের বাতাস। হাসপাতালগুলোতে রোগীতে ঠাঁসা। একসঙ্গে এত আগুনে পোড়া রোগীর চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মী। তবুও শনিবার থেকে নিরলসভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছন।
এদিকে নিহতদের মধ্যে শনাক্ত হওয়া ১৭ জনের মধ্যে ১৫ জনের নাম পাওয়া গেছে। যারা হলেন- মোমিনুল হক, মহিউদ্দিন, হাবিবুর রহমান, রবিউল আলম, তোফায়েল ইসলাম, ফারুক জমাদ্দার, আফজাল হোসেন, মো. সুমন, মো. ইব্রাহিম, হারুন উর রশিদ, মো. নয়ন, শাহাদাত হোসেন, শাকিল তরফদার, শাহাদাত উল্লাহ জমাদার ও ফায়ার সার্ভিস কর্মী মনিরুজ্জামান।
বিইউ/ একেবি